বিশ্বের যেসব দেশে মূল্যস্ফীতির হার সবচেয়ে বেশি, আর্জেন্টিনা তার মধ্যে একটি। গত কয়েক দশক ধরে দেশটিতে মূল্যস্ফীতি ডাবল ডিজিট বা দুই অংকের ঘরে থাকছে। তবে বিশ্বকাপের কারণে কষ্ট কিছুটা ভুলে থাকছেন আর্জেন্টিনার নাগরিকেরা।
কারখানায় কাজ করা শ্রমিক অ্যাকস্টা বলছেন, ‘ফুটবল আমাদের প্রতিদিনের সমস্যা কিছুটা ভুলে থাকতে সহায়তা করছে। আর্জেন্টিনা যদি চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, আমাদের আর্থিক অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি, কিন্তু অন্তত আমরা খুব খুশি হয়েছি’।
বিশ্বকাপ শুরুর পর থেকে বাড়ি হোক কিংবা বার, সব জায়গায় সমর্থকেরা টিভির সামনে ভিড় করেছেন। রাজধানী বুয়েনস আইরেসে ফ্যান জোনও তৈরি করা হয়েছে। ফাইনালে জিতে ৩৬ বছরের অপেক্ষা ঘুচানোর অপেক্ষার শেষ হলো সমর্থকদের।
‘অনেকে এই জয়টা চেয়েছিলেন, যদিও তারা জানেন, এটা শুধুই একটি খেলা, অর্থনৈতিক দুরবস্থা সম্পর্কে তারা ভালোই অবগত আছেন,’ এএফপিকে বলেন ৩৮ বছর বয়সী হাসপাতালকর্মী লুক্রেসিয়া প্রেসডিগার।
নভেম্বরে প্রকাশিত এক জরিপ বলছে, তিন-চতুর্থাংশের বেশি আর্জেন্টাইন মনে করেন, বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার খেলার ফল মানুষের মনোবলের উপর প্রভাব ফেলবে। ৩২ শতাংশ উত্তরদাতা এও মনে করছেন, প্রায় ১০ মাস পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের উপরও বিশ্বকাপের ফলের একটা প্রভাব থাকবে।