রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের দায় শুধু বাংলাদেশের নয়, বরং বিশ্বের মোড়ল হিসেবে পরিচিত দেশগুলোরও দায়িত্ব আছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
রোববার সিলেট নগরীর ধোপাদিঘিরপাড়ে আল খায়ের ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিতদের মধ্যে হুইল চেয়ার ও সেলাই মেশিন বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. মোমেন বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ । রোহিঙ্গারা কয়েক দিন পর পর আমাদের দেশে আসে। গত সত্তর দশক থেকে শুরু করে নব্বইয়ের দশকেও তারা এখানে এসেছে। পরবর্তীতে মিয়ানমার সরকার তাদের নিয়েও গেছে। কিন্তু এবারের সংখ্যা অনেক বেশি, প্রায় ১১ লাখ। মিয়ানমার কখনো বলেনি তাদেরকে নেবে না। আমাদের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে তারা বলেছে নিয়ে যাবে।
ড. মোমেন আরও বলেন, আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তাদের প্রত্যাবাসন শুধু আমাদের একার দায়িত্ব না, বিশ্ব মোড়লদেরও দায়িত্ব আছে। আমরা বিশ্ব মোড়লদের বলেছি, রাখাইনে যেখানে রোহিঙ্গারা ছিল, সেখানে আপনারা নিরাপদ জোন তৈরি করুন। কিন্তু তারা মুখে বললেও আন্তরিকতার ঘাটতি আছে। তবে আমি সবসময় আশাবাদী রোহিঙ্গারা তাদের দেশে ফেরত যাবে।
নতুন একটি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, কিছু লোককে তারা নিয়ে গেলেও তা সমুদ্রের বিন্দুর মত। আমাদের দেশ খুবই ঘনবসিতপূর্ণ। প্রতি বর্গ মাইলে ২ হাজার ৯০০ লোক থাকে। আমেরিকায় মাত্র ৪০ জন থাকে। ইউরোপে মাত্র ১৫ থেকে ২৫ জন লোক থাকে। মিয়ানমার অনেক বড়। তারা চাইলে নিতে পারে। রোহিঙ্গা সমাধানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে হবে মিয়ানমারকেই।
এ সময় আল খায়ের ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ম্যানেজার তারেক মাহমুদ সজীব, সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শোভাযাত্রায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী:
এদিকে দুপুরে সিলেটে বিজয় শোভাযাত্রা করেছে মহানগর আওয়ামী লীগ। নগরীর রেজিস্ট্রারি মাঠ থেকে বিজয় শোভাযাত্রা বের হয় হয়ে বন্দরবাজার ও জিন্দাবাজার হয়ে শহীদ মিনারের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এতে সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ছাড়াও তার স্ত্রী সেলিনা মোমেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, বিজিত চৌধুরী, আজাদুর রহমান আজাদ, ডা. আরমান আহমদ শিপলু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।