বুয়েটশিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ আত্মহত্যা করে করেছে বলে জানিয়েছে মৃত্যুর ঘটনায় দুই তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। তবে ফারিদিনের বাবা নুর উদ্দিন রানা এমন তথ্য মানতে নারাজ। তিনি বলেন, ফারদিন আত্মহত্যা করতে পারে না। ফারদিনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। কোনও একটি গোষ্ঠীকে আড়াল করতেই, তাদের স্বার্থেই এই ধরনের প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেন।
তদন্তকারী সংস্থার দেয়া ভিডিও ফুটেজের বিষয়ে নুরুদ্দিন বলেন, ব্রিজের ওপর থেকে ফারদিন লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে, তদন্তকারী দুই সংস্থা আমাকে এ বিষয়টি জানিয়েছে। তবে কীভাবে তারা নিশ্চিত হলেন এটি ফারদিন, এই প্রশ্ন রাখেন তিনি।
দুই তদন্তকারী সংস্থার দেয়া বক্তব্যে হতাশা জানিয়ে তিনি বলেন, আমার ছেলেকে তো আর ফিরে পাবো না। আমরাও আরও চারটি কবর খুঁড়ছি। আমরা জ্যান্ত কবরবাসী হবো। তদন্তকারী সংস্থা ফারদিনের মৃত্যুর বিষয়ে যেসব তথ্য দিচ্ছে, তা আমাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য নয়।
ডিজিটাল ডিভাইস দিয়ে সবকিছুই শনাক্ত করা যায় উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, রামপুরা থেকে শুরু করে ঢাকা শহরের জনসন রোড, কেরানীগঞ্জ, জুরাইন, পোস্তগোলা, কোনও জায়গায় কোনও রকমের ফুটেজ পাওয়া গেল না! শুধু যাত্রাবাড়ীতে এক জায়গায় তাকে দেখা গিয়েছিল! পরবর্তীতে তাকে তুলে নেয়া হয়েছে এবং হত্যা করা হয়েছে।
ময়নাতদন্তকারী কর্মকর্তা তখন জানিয়েছিলেন মাথায় ও বুকে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছিল, সে বিষয়টিও তদন্তকারী সংস্থা আমলে নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
পুনরায় তদন্তের দাবি করবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে নুরুদ্দিন বলেন, যখন দুটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এক হয়ে একই ধরনের প্রতিবেদন দেয়, সেখান থেকে আবারও অন্য কোনও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্য কোনও ইউনিটকে দিয়ে তদন্ত করলে কী আর হবে?