৩ ডিসেম্বর বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ। সমাবেশে যোগ দিতে বগুড়া থেকে মোটরসাইকেলবহর নিয়ে নেতাকর্মীরা সেখানে যেতে শুরু করেছেন। শুক্রবার দুপুরে সেই বহরে যোগ দেন আদমদীঘি উপজেলার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও। বগুড়া-নওগাঁ রুটে একটি বহরে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০টি মোটরসাইকেল দেখা গেছে। প্রতিটি মোটরসাইকেলে দুজন করে ছিলেন।
বগুড়া থেকে আসা একটি বহরে কাহালু, দুপচাঁচিয়া, আদমদীঘি ও সান্তাহারের নেতাকর্মীরদের যোগ দিতে দেখা যায়। ওইসব নেতাকর্মী রাতে থাকার জন্য ব্যাগভর্তি গরম কাপড় নিয়ে যাচ্ছেন। তবে বিভিন্ন এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহীদের তল্লাশি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন তাঁরা।
উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মিনহাজুল ইসলাম বলেন, সমাবেশর উদ্দেশে বগুড়ার মোটরসাইকেলবহরে আদমদীঘির বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে প্রায় ১৫০টি মোটরসাইকেল সান্তাহার-ঢাকা রোড এলাকায় যোগ দেয়। পরে সেখান থেকে বিশাল একটি বহর নিয়ে যাত্রা শুরু হয়।
বহরে থাকা ছাত্রদলের বগুড়ার আজিজুল হক কলেজ শাখার নেতা আতিকুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে একাধিক মোটরসাইকেলবহর রাজশাহী গণসমাবেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। শনিবার সকাল পর্যন্ত এভাবে যেতে থাকবে। সবাই মোটরসাইকেলের কাগজপত্র ও হেলমেট নিয়েই যাচ্ছেন।
বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব আবু হাসানের অভিযোগ, গণসমাবেশে যোগ দিতে হাজার হাজার মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে যাত্রা শুরু করা হয়। পথে দফায় দফায় পুলিশ তাঁদের বহরে বাধা দিয়েছে।
আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নাজরান রউফ বলেন, সড়কের বিভিন্ন জায়গায় নিয়মিত টহল-তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। কাগজপত্র না থাকায় সকাল থেকে ১০টি মোটরসাইকেল আটক করা হয়। বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে সড়কে বাধা দেওয়া বা আটক করা হয়নি।