রাজধানীর আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুই জঙ্গিকে ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি তিন মাস আগে থেকেই শুরু হয়।

পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আনসার আল ইসলামের নেতারা নিজ সংগঠনের কর্মীদের ছিনিয়ে আনতে আদালত প্রাঙ্গণে রেকি করেন। কয়েকটি হাজিরার দিন তারা আদালতে যান, সার্বিক অবস্থা ভালোমতো পর্যবেক্ষণ করেন। তিন থেকে চার মাস রেকি করার পর সিদ্ধান্ত নেন।

জঙ্গিদের আনা-নেওয়ার সময় আদালতে কতজন পুলিশ থাকে, তাদের হাতে কী ধরনের অস্ত্র থাকে এবং আদালতে আনার পর নিরাপত্তাব্যবস্থার বিষয় কয়েকটি হাজিরায় ভালোমতো খেয়াল করা হয়। এরপরই পুলিশকে হামলা করে ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা আঁটে নিষিদ্ধ ঘোষিত এই জঙ্গি সংগঠন।

কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)-এর এক কর্মকর্তা বলেন, তারা খেয়াল করে যে অন্য আসামিদের মতো জঙ্গিকে ‘ক্যাজুয়ালি’ আদালতে আনা হয়। তাছাড়া আদালতে আনার পর কড়া পাহারা থাকে না।

উল্লেখ্য, আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশ একটি চাবি ও লোহা কাঁটার জন্য ব্লেড উদ্ধার করেছে৷ এ থেকেই বঝা যায়, জঙ্গিদের সব ধরনের প্রস্তুতি ছিল।

রোববার (২০ নভেম্বর) আদালত থেকে আনসার আল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুজন জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়।