অবশেষে বাগেরহাটের সেই মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অফিস সহকারী পতিত পবন রায়কে বদলীর আদেশ দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় বাগেরহাট মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের অনিয়ম ও দূর্নিতীর খবর প্রকাশিত হওয়ার পর মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এ বদলির আদেশ দেন। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ পরিচালক (প্রশাসন) আবুল কাশেম স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়েছে দাকোপ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে পতিত পবন রায়কে অফিস সহকারী কাম –কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে বদলি করা হলো।
পতিত পবন রায়ের বদলির আদেশে বাগেরহাট জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও প্রশিক্ষনার্থীরা সন্তুষ্ঠি প্রকাশ করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছিক কয়েকজন প্রশিক্ষনাথী জানান, আমরা অনেক খুশি হয়েছি। পবন রায়ের মত এত খারাপ আমরা দেখিনি। তারা আরো জানান, অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক রাজস্ব স্যার সোমবার আমাদের অফিস দেখতে আসলে আমারা স্যারকে বলেছিলাম আমাদের প্রশিক্ষন রুমে সিসি ক্যামেরা বসিয়েছে অন্য কোন রুমে সিসি ক্যামেরা নেই । এ নিয়ে পতিত পবন ও ডিডি ম্যাডাম যা ইচ্ছা তাই বলেছে অমাদের দেখেনেয়ার হুমকী দিয়েছে ।

এ বিষয় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের এক প্রশিক্ষক ক্ষোভের সহিদ বলেন, পতিত পবন রায়কে ষ্টান্ড রিলিজ করা উচিত ছিল। যেখানে এত পত্র পত্রিকায় তাদের দূর্নিতীর কথা তুলে ধরা হয়েছে আর আমাদের অধিদপ্তর সাধারন বদলি করলো এটা ভাবনার বিষয়। খতিয়ে দেখলে এর আসল রহস্য পাওয়া যাবে।

এদিকে গত ১৩ নভেম্বর বাগেরহাট জেলা আইনশৃংখলা কমিটির সভায় ও বাগেরহাট মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অফিস সহকারী পতিত পবন রায় ও উপ পরিচালক নাজমুন নাহার এর দূর্নিতী, অনিয়মের অভিযোগের বিষয়টি আলোচনা হয়।
উলেখ্য বাগেরহাট মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অফিস সহকারী পতিত পবন রায় ও উপ পরিচালক নাজমুন নাহার এর দূর্নিতী, অনিয়মের অভিযোগ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ এ বদলির আদেশ দেন।

বাগেরহাট থেকে রুহুল আমিন বাবু