দেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

তিনি বলেন, আমরা জিরো টলারেন্স নীতি মেনে দায়িত্ব পালন করি, আপনারা দেখেছেন হলি আর্টিজানের পর আর কোনো বড় ঘটনা ঘটেনি। এর মানে এই যে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় জিরো টলারেন্স নীতির আলোকে বাংলাদেশ পুলিশ, র‌্যাব, সব গোয়েন্দা সংস্থা ও জনপ্রতিনিধিরা একই প্ল্যাটফর্মে কাজ করে যাচ্ছি। সবাই একযোগে কাজ করায় বাংলাদেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আছে।

শুক্রবার বেলা ১১টায় সংক্ষিপ্ত সরকারি সফরে সুনামগঞ্জে পুলিশ লাইনসের ক্রীড়া কমপ্লেক্স উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

আইজিপি আগামী নির্বাচন ও বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের ভূমিকা বলতে গিয়ে বলেন, পুলিশ একটি পেশাদার বাহিনী। জাতীয় নির্বাচনসহ সব নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ পেশাদারিত্বের সঙ্গে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। আগামীতেও আমরা আমাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে যাব। কখন, কীভাবে দায়িত্ব পালন করতে হয়- প্রশিক্ষণ একাডেমিতে এ ব্যাপারে আমাদের প্রশিক্ষণ আছে। যেখানে যেটা দরকার আইন, বিধি এবং আমাদের প্রশিক্ষণের আলোকে আমরা সেভাবেই ব্যবস্থা নেব।

জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের জিরো টরারেন্স নীতির কথা উল্লেখ করে পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, আমরা সব সময় জঙ্গিদের চেয়ে এক কদম এগিয়ে কাজ করে থাকি। তাদের আগে হাঁটি। এ জন্য সব সময়ই আমরা সফল হয়েছি। কাজেই জঙ্গিবাদ কখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে না।

সুনামগঞ্জের সন্তান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমি হাওড়পাড়ের সন্তান। এই হাওড়ের মাটির সঙ্গে পানির মাঝে বড় হয়েছি, ঢেউয়ের মাঝে সাঁতার শিখেছি। আমরা ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে লড়াই করে বড় হয়েছি। এই সুনামগঞ্জের মানুষ সংগ্রামী মানুষ। তাদের সঙ্গে আমি একসঙ্গে বড় হয়েছি। আমি সুনামগঞ্জকে কখনো ভুলতে পারব না। এ জেলাবাসীর ভালোবাসায় হয়তো আজকে পুলিশের সর্বোচ্চ পদে আসীন হতে পেরেছি। এটা নিঃসন্দেহে একটা অন্যরকম অনুভূতি।

আইজিপি সুনামগঞ্জ পুলিশ লাইনসে ক্রীড় কমপ্লেক্স উদ্বোধনের আগে সদর থানাসংলগ্ন সুনামগঞ্জ পুলিশ শপিংমলের উদ্বোধন করেন এবং পরে জেলা পুলিশের কল্যাণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।

এ সময় পুলিশ হেড কোয়ার্টারের এআইজি (মিডিয়া) মনজুর, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ, র‌্যাবের উপ-পরিচালক লে. কামান্ডার সিঞ্চন চৌধুরী, পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার ইন সার্ভিসের এসপি নিকুলিন চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মো. আবু সাঈদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সুমন মিয়া ও সদর মডেল থানার ওসি মো. ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।