লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে ৫ বছরের প্রেম আর ৭ মাস পুর্বে বিয়ের স্বীকৃতি পেতে অমানুষিক নির্যাতন সত্ত্বেও স্বামী নাঈমের বাড়ির বাহিরে অবস্থান করছে এক রমণী। গত ২৮ শে অক্টোবর দুপুর ২টা হতে থেকে এখন পর্যন্ত নাঈমের স্ত্রী তার বাড়ির বাহিরে অবস্থান করছে। প্রেমের টানে ও স্ত্রীর দাবি নিয়ে ছুটে আসা স্ত্রী উপজেলার কান্চশ্বর এলাকার সহিদুল ড্রাইভারের মেয়ে। ৭ মাস পূর্বে নাঈমের সহিত তার বিয়ে হয়েছে বলে দাবী তার।
অপরদিকে স্বামী নাঈম (২৩) উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের পলাশের ছেলে। সে কাকিনা উত্তর বাংলা কলেজের শিক্ষার্থী। তবে এ ঘটনায় স্বামী নাঈম পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে। বাড়িতে সংবাদকর্মীরা যাতে প্রবেশ করতে না পারে অবস্থানরত স্ত্রীর সাথে যাতে কথা বলতে না পারে সেজন্য বাড়ির মূল ফটকে তালা লাগানো হয়েছে।
তবে সরেজমিনে স্থানীয়দের সহিত কথা বলে জানা যায়, স্বামী নাঈমের পরিবার মেয়েটিকে খাবার না দিয়ে বরং উল্টো মানুষিক নির্যাতন করছে। বাড়ির মুল ফটকে তালা দিয়ে তারা স্ত্রীর দাবিকৃত মেয়েটিকে বাড়ির উঠানে ফেলে রেখেছে। স্থানীয়রা আরোও অভিযোগ করেছেন নাঈমের পরিবার অর্থশালী হওয়ায় স্থানীয় নেতা, প্রশাসন সহ সকলকে ম্যানেজ করে তাকে স্ত্রীর মর্যাদা না দিয়ে দালালচক্র দ্বারা বিষয়টি গোপনে আপোষ-মিমাংসার চেস্টা চালাচ্ছে। যাতে অসহায় দরিদ্র মেয়েটি যেন কোনক্রমেই স্ত্রীর দাবি না করে। জানা যায়, দীর্ঘ ৫ বছর ধরে ছিল তাদের প্রেমের সম্পর্ক। আর এ প্রেমের সম্পর্ক কে ৭ মাস পূর্বে বিয়ে করে স্ত্রী হিসাবে মেনে নিয়ে শারিরীক সম্পর্ক চালিয়ে আসলেও স্ত্রী হিসাবে তার বাড়িতে নিতে অস্বীকৃতি জানায় ও টালবাহানা শুরু করে নাঈম। আর এ কারনে স্ত্রীর মর্যাদা দাবিতে নিজ শ্বশুরবাড়িতে পাঁচ দিন ধরে অবস্থান করছে নাঈমের বিবাহিত স্ত্রী।
এ ঘটনায় মেয়েটির পিতা অসুস্থ পঙ্গু, দরিদ্র সাইদুল ইসলাম বলেন, আমার দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে আমার মেয়েকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে অস্বীকৃতি জানায় নাঈম। আমার মেয়ে শুক্রবার হতে তার স্বামীর বাড়িতে অবস্থান করছে। আমি এ ঘটনায় সু-বিচার কামনা করছি। ইউপি সদস্য ও তুষভান্ডার ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ বলেন, বিষয়টি অবগত আছি। তবে বিষয়টি কাকিনা ইউপি চেয়ারম্যান তাহির তাহু বিষয়টা দেখবেন বলে জানান তিনি।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম গোলাম রসুল জানান, তিনি ঘটনাটি অবগত আছেন। তবে, ওই তরুণী বা তার পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান ওসি।