কুমিল্লায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা প্রতারক চক্রের দুই নারী সদস্যসহ সাত জনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে নয়টি মোবাইল ফোন, ডিবির লোগো সম্বলিত জ্যাকেট, হ্যান্ডকাপ, গুলি ও ছোরা উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ সব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. আবদুল মান্নান।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, প্রতারক চক্রটি নারী সদস্যদের দিয়ে প্রথমে হতদরিদ্র-শ্রমিকদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলত। তারপর নারীদের মোবাইল ফোন থেকে সিম ও ডাটা ডাইভার্ট করে পুরুষদের মোবাইলে নিয়ে ডিবি পুলিশ সেজে ভুক্তভোগীদের আটক করে তাদের স্বজনের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে হাতিয়ে নিয়ে আসছিল- এমন অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা ডিবির ওসি রাজেশ বড়ুয়ার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে সোমবার রাতে প্রতারক চক্রের ওই ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তাররা হচ্ছেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের কালিউতা গ্রামের সবুজ মিয়া (২৭), একই গ্রামের রতন মিয়া (২৮), আঁখি নূর (২৩), কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার বড় আলম গ্রামের মঈন উদ্দিন (২০), মুরাদনগরের দারোরা বাজার গ্রামের ওসমান গণি (৩৫), একই গ্রামের সুনিয়া বেগম ওরফে ফরিদা (২৯) ও বান্দরবানের লামা উপজেলার আমতলীপাড়া গ্রামের আরিফুল ইসলাম (২০)।

কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. আবদুল মান্নান জানান, গ্রেপ্তাররা কুমিল্লা নগরীর গর্জনখোলা এলাকায় ফ্ল্যাট বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারদের মধ্যে ২ জন করোনাকালে ভুয়া ডাক্তার সেজে করোনা সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে প্রতারণার দায়ে গ্রেপ্তার হয়ে জেল থেকে বের হয়ে ধরণ পাল্টিয়ে পুনরায় প্রতারণা শুরু করে।