ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন লুই ইনাসিও লুলা ডি সিলভা। গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত ফিরতি নির্বাচনে তিনি ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোকে সামান্য ব্যবধানে পরাজিত করেছেন।

ব্রাজিলের নির্বাচন কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, লুলা পেয়েছেন ৫০.৮ ভাগ ভোট। আর বোলসোনারো পেয়েছেন ৪৯.২ ভাগ ভোট।

জয়ের পর বিশাল সমাবেশে ৭৭ বছর বয়স্ক লুলা বলেন, ‘প্রথমেই আমি আমার সাথে থাকা কমরেডদের ধন্যবাদ দেই। আমরা কেবল কোনো এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে নয়, বরং রাষ্ট্রীয় যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। এ লোক এই নির্বাচনে জয়ী হতে আমাদের বাধা দিয়ে আসছিল। যেই ভোট দিতে চেয়েছে, তাকেই ধন্যবাদ জানাই।’

ভোট গণনার শুরুতে বোলসোনারোই এগিয়ে ছিলেন। তবে লুলার তাকে পেছনে ফেলতে খুব বেশি দেরি হয়নি। তার এগিয়ে যাওয়া শুরু হতেই সাও পোলোর রাস্তায় গাড়ির হর্নে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী লুই কার্লোস গোমেস (৬৫) বলেন, লুলা গরিবদের জন্য, বিশেষ করে গ্রামের লোকদের জন্য সর্বোত্তম। আমরা সবসময় তার পাশে আছি।

এটা ছিল ১৯৮৫ সালের পর ব্রাজিলে সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন। ওইবারও সামরিক স্বৈরতন্ত্রের অবসান ঘটিয়েছিলেন লুলা। আর বোলসোনারো হলেন সাবেক সেনা ক্যাপ্টেন।
তবে এখন পর্যন্ত ৬৭ বছর বয়স্ক বোলসোনারো পরাজয় স্বীকার করে নেননি। তার প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। তিনি ভোটিংব্যবস্থাকে জালিয়াতিপ্রবণ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

উল্লেখ্য, ব্রাজিলের ঐতিহ্য হলো, পরাজিত প্রার্থীই আগে বক্তৃতা করে পরাজয় স্বীকার করে নেন, তারপর বিজয়ী প্রেসিডেন্ট বক্তৃতা করেন। এবার তা হয়নি।

সূত্র : আলজাজিরা