ভারতের গুজরাত রাজ্যের মৌরবি ঝুলন্ত ব্রিজ ভেঙে পড়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪১ হয়েছে বলে জানিয়েছেন গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সংভি। রোববার দিবাগত সারারাতে উদ্ধারকর্মীরা মোট ১৭৭ জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানা গেছে। এখনো অনেকে নিখোঁজ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাদের খোঁজে উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে। ভারতের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি উদ্ধারকাজে শামিল হয় সেনা, বিমান এবং নৌবাহিনীও।

গুজরাতের মৌরবি জেলার মচ্ছু নদীর উপর ব্রিটিশ আমলের সেতুটি বিগত বেশ কয়েক দিন বন্ধ ছিল রক্ষণাবেক্ষণের কারণে। এরপর কয়েক দিন আগেই ফের পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছিল এ সেতুটি। এই আবহে রোববার সন্ধ্যায় ওই ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়ে। ওই সময় ব্রিজে কয়েক শ’ লোক ছিল বলে একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেক শিশু এবং নারী ছিল। এই আবহে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় বহু মানুষ। এই দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যাও শতাধিক। এর মধ্যে ১৯ জনের শারীরিক অবস্থা গুরুতর। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

গুজরাতের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী ব্রিজেশ মের্জা এই দুর্ঘটনা সম্পর্কে এক সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থাকে বলেন, ‘গত সপ্তাহে সংস্কার করা হয়েছিল সেতুটির। আমরা এই দুর্ঘটনায় হতবাক। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি… সরকার এই দুর্ঘটনায় দায় স্বীকার করছে।’

গুজরাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সংভি জানান, দুর্ঘটনার কারণ জানতে পাঁচ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হচ্ছে।

এদিকে ঘটনায় মৃতদের নিকটাত্মীয়দের চার লাখ ভারতীয় টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা করেছে গুজরাত সরকার। আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেবে রাজ্য সরকার। গুজরাতের এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বর্তমানে তিনি গুজরাত সফরেই আছেন। মৃতদের পরিবারের জন্য ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস ও আনন্দবাজার পত্রিকা