ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। চেক প্রতারণার মামলায় এই আদেশ দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বাদিপক্ষের আইনজীবী এইচ এম আল আমিন জানান, গত ২৪ অক্টোবর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

তিনি বলেন, গত ২৪ অক্টোবর আসামিদের সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করি। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন। এ বিষয়ে প্রতিবেদনের জন্য আগামী ১৬ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি মামলার বাদি মেহেদী হাসান খান বিজ্ঞাপন দেখে তিনটি মোটরসাইকেল, একটি মোবাইল ফোন ও কিছু গিফট কার্ড অর্ডার করেন এবং এ বাবদ ৮ লাখ ৫৪ হাজার টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করেন। ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহের কথা থাকলেও আসামিরা তা সরবরাহ করতে ব্যর্থ হন।

এরপর ৯ মার্চ ইভ্যালি পণ্যের সমমূল্যের একটা চেক প্রদান করেন। একই বছরের ৫ জুলাই চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে তা ডিজঅনার হয়। এ বিষয়ে ১৪ অক্টোবর তাদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ২৮ নভেম্বর শামীম নাসরিন ও মো: রাসেলের বিরুদ্ধে বাদি মামলা করেন। আদালত আসামিদের হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন। তবে তারা উপস্থিত না হওয়ায় গত চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। গ্রেফতারি পরোয়ানার পর তিন ধার্য তারিখে এ বিষয়ে প্রতিবেদন না আসায় আদালত তাদের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন।