পড়াশোনার খরচ চালাতে রাজমিস্ত্রির কাজ করা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ সোহরাওয়ার্দী হলে আবাসনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
রোববার (২৩ অক্টোবর) রাতে শহিদ সোহরাওয়ার্দী হলের ৪৮০নং কক্ষে উঠেছেন ইমরান হোসেন।
এ বিষয়ে ইমরান হোসেন বলেন, আমাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়রের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করে আমার পড়াশোনার খরচসহ সার্বিক দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানানো হয়।
রোববার আমি বাড়ি থেকে রাজশাহীতে এসেছি। রাজশাহীতে এসে রাতে নগরভবনে মেয়রের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। তিনি আমাকে হলে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, রাজশাহীতে আসার আগে পড়াশোনার খরচ চালানো নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় ছিলাম। এখন মেয়র সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন, আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। এতে আমি ও আমার পরিবার দুশ্চিন্তামুক্ত হয়েছি। আমরা সবাই অনেক খুশি। আমরা মেয়রের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।
উল্লেখ্য, ইমরান হোসেন পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবদুর রশিদ মাঝির ছেলে। পরিবারের আট সন্তানের মধ্যে পঞ্চম ইমরান।
দারিদ্র্যতা ঠেকাতে পারেনি অদম্য ইমরান হোসেনের পথচলা। কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন। আগামী ১ নভেম্বর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তার ক্লাস শুরু হবে।
এর আগে ১৯ অক্টোবর একটি গণমাধ্যমে ‘পড়াশোনার খরচ চালাতে রাজমিস্ত্রির কাজে রাবি শিক্ষার্থী’ শিরোনামে ইমরান হোসনকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
খবরটি রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নজরে আসলে অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী ইমরান হোসেনের দায়িত্ব নেন তিনি। ইমরানের পড়াশোনার খরচ, থাকা-খাওয়াসহ তার সব খরচ বহনের ঘোষণা দেন রাসিক মেয়র।