ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব বরিশালে আজ সোমবার সকাল থেকে বৃষ্টির সঙ্গে দমকা বাতাস বইছে। ভোর ৬টা থেকে বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বরিশালের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপপরিচালক আ: রাজ্জাক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নদীবন্দর এলাকায় বৈরী আবহাওয়া সৃষ্টি হওয়ায় অভ্যন্তরীণ রুটের লঞ্চ ও স্পীডবোট চলাচল পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ করা হয়েছে। এর আওতায় অভ্যন্তরীণ ১২টি রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভোলা, মেহেন্দীগঞ্জ, হিজলাসহ উপকূলীয় এলাকার কোনো লঞ্চই চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না।
এদিকে, রোববার থেকে শুরু হওয়া গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি সোমবার সকালে মাঝারি ভারি বৃষ্টিতে পরিণত হয়েছে। এরসঙ্গে মৃদু দমকা বাতাস বইছে। ফলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রার ছন্দপতন দিয়ে মানুষের দিনের যাত্রা শুরু হয়। জনজীবন অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার আব্দুর রহমান বলেন, সোমবার সকালে জোয়ারের সময় পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মাজহারুল ইসলাম জানান, সমুদ্র বন্দরের জন্য ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত রয়েছে।
বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলা ও ঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
রোববার বিকেলে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা হয়েছে। সভায় জানানো হয়, জেলায় ৫৪১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত আছে, যেখানে প্রায় ২ লাখ ৬৯ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। শুকনো খাবার, সুপেয় পানি, মোমবাতি, ওষুধপত্রের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। উদ্ধার তৎপরতায় প্রয়োজনীয় যানবাহন, সরঞ্জামাদিসহ প্রতিটি ইউনিয়নে ১টি করে মেডিকেল টিমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলার সকল স্থানে মাইকিং করা হচ্ছে। গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার চলাচল বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে।