টি২০ বিশ্বকাপ সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে পাক-ভারত ক্রিকেট যুদ্ধ দিয়ে দুই দলের বিশ্বকাপ মিশন  ‍শুরু হলো। এশিয়া কাপে ৫ উইকেটে হেরে যাওয়া ভারত এবার হারের শোধ নিল৪ উইকেটে জিতে। আর জেতা ম্যাচে পাকিস্তান হেরে গেল বিশ্বকাপ আসরের শুরুতে। শেষ ৩০ বলে ৬০ রান যোগ করতে কোহেলী একাই খেলেছেন। জেতালেন দলকে, আর অপরাজিত রইলেন।

গত আসরে ১০ উইকেটে হারের জ্বালা মিলিয়ে যায়নি, তার উপর ২০২২ টি২০ বিশ্বকাপে আবারো হার হজম করতে চায়নি ভারত। ৪ উইকেটে পাকিস্তানকে হারিয়ে ভারতের শুভ সূচনা।

দুপুরে শুরু হওয়া ম্যাচে পাক শিবির সংগ্রহ করেছে ১৫৯/৮ রান। জয় পেতে হলে ভারততে করতে হবে ১৬০ রান। টস জিতে যে হিসেবটা মাথা নিয়ে বল করেছে ভারত, সে হিসেবটা পরে তাদের ব্যাটিং করার সময় ঠিক রাখতে পারেন। কতটা কঠিন ছিল পাক বোলিং, তার প্রমান মেলে ভারত যখন ১১.২ ওভারে গিয়ে ইনিংসের প্রথম ছক্কা পায়।

কারণ সিডনি বোলিং উইকেটে ভারত যতো সুবিধা আদায় করেছে, ঠিক ততোটাই সুবিধা আদায় করেছে পাক বোলিং বিভাগ। শুরু থেকেই ভারতীয় ওপেনিং জুটিকে চাপে রাখে পাক পেসাররা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

টু দ্য লাইন বলতে যা বোঝায় সেটাই করেছে পাক পেসা বোলারা।  চাপে থাকা ভারতের ওপেনিং জুটিকে দাঁড়াতেই দেয়নি পাক বোলারা। পাকিস্তান যেখানে ৩ ওভারে ২ উইকেট ১৫ করেছিল, সেখানে ভারত ৫ ওভারে করেছে ২ উইকেটে মাত্র ২২!

এরপর ভারতের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। ৬ষ্ঠ ওভারে তৃতীয় আর ৭ম ওভারে ৪ নম্বর উইকেট হারায় ভারত। শুরুতেই ওপেনার রাহুল ৪, এরপর অধিনায়ক রোহিত ৪ করে ফেরত যান। কোহেলী ক্রিজে থাকলেও তাকে সঙ্গ দিতে পারেনি ইয়াদব আর পাটেল। ইয়াদব ১০ বলে ১৫ আর পাটেল ২ রানে রান আউট! ৪ উইকেটে ৩১, জয় পেতে ভারতের দরকার ৭৭ বলে ১২৬ রান।

১০ ওভারে ৪৫/৪, শেষ ১০ ওভারে ৬০ বলে ১১৫ রান করতে হবে। এমন কঠিন হিসেবে আর যাই হউক পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারত জয় প্রত্যাশা করতে পারে না।

তবে ভারতের ৫ম জুটিতে কোহেলী আর হার্দিক পান্ডের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বল-রানের দূরত্ব অনেকটাই কমে আসে। এই জুটি ভারতে নিয়ে যায় লড়াইয়ে, ১৫ ওভারে স্কোর ১০০/৪, ৩০ বলে দরকার ৬০ রান। কোহেলি আর পান্ডে জুটির মারকুটে রান তোলা দেখে মনে হয়েছিল পাকিস্তান ম্যাচ হেরে গেছে।

কিন্তু পাক বোলাররা আবারো ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ নেয়, যে কারণে ভারতের দরকার পড়ে ১৮ বলে ৪৮ রান। কোহেলীর মারকুটে ৪৩ বলে ৮২ রানের ইনিংসটা ভারতকে হার থেকে বাঁচিয়ে দিল। ১৯ ওভারে ১৪৪/৫, শেষ ৬ বলে ১৬ রান!  ৪ বলে ১৫, ৩ বলে ১৩ রান, যখন দরকার ছক্কার মার তখন কোহেলির মতো বিশ্ব সেরা ব্যাটারও বার বার হেরে যাচ্ছিলেন। তবে ২০তম ওভারের  ৪ নম্বর বলটি নো ঘোষণা এল, আর ছক্কাও হয়ে গেল। শেষ ২ বলে ৭ রান!

শেষ ৩ বলে ৫ রান, ২ বলে ২ রান! একেই বলে টি২০। হতবাক করে দিয়ে বোলার নেওয়াজ স্ট্যাস্পিং করালেন দিনেশকে। ১ বলে ২ রান! কিন্তু ওয়াউড হলে, স্কোর লেভেল ১৫৯। চার মেরে খেলা শেষ হলো। ৪ উইকেটে হেরে গেল পাক শিবির জেতা ম্যাচ। কোহেলী ৫৩ বলে ৮২ রানে ছিলেন অপরাজিত।