গাজীপুরের টঙ্গী থেকে ছিনতাই চক্রের প্রধান শরীফ হোসেনসহ তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে চোরাই মোবাইল, মোটরসাইকেল, নগদ টাকা ও ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে টঙ্গী এলাকায় ছিনতাই বিরোধী অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে র্যাব-১ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নোমান আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকুতরা হলো ছিনতাই চক্রের প্রধান রাজবাড়ী জেলার বাইলাকান্দি উপজেলা এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে শরীফ হোসেন (২২), টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার মৃত সামাদ আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ বাবু (২৩), ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার ফিরোজ হোসেনের ছেলে শ্যামল হোসেন রাব্বী (২৩), টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকার বাবুল মৃধার ছেলে নাছির রাজ (৩০), নোয়াখালীর সেনাইমুড়ি উপজেলার মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে সাজেদুল আলম শাওন (২১)। এসময় তাদের কাছ থেকে ৫০ টি মোবাইল, একটি মোটরসাইকেল, নগদ ২৯ হাজার টাকা ও ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নোমান আহমেদ জানান, গত ৫ অক্টোবর টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকা থেকে ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করে র্যাব। তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং ছিনতাইকারী চক্রকে গ্রেফতারে তৎপর হয়ে উঠে। পরে র্যাব অভিযান চালিয়ে টঙ্গী থেকে ছিনতাই চক্রের প্রধান শরীফ হোসেনসহ তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চক্রের মূলহোতা শরীফ স্বীকার করে সে একদিনে সর্বেচ্চ ৫০টি মোবাইল ছিনতাই করেছে। এসব মোবাইল গ্রেফতার আব্দুল্লাহ বাবু ও শ্যামলের মাধ্যমে বিক্রি করতো। আসামী নাছির ও শাওন মোবাইল ইঞ্জিনিয়ার। টঙ্গী বাজারে নাছিরের মোবাইল মেরামতের দোকান রয়েছে। নাছির বৈধ ব্যবসার আড়ালে মোবাইলের লক ও আইএমইআই পরিবর্তনের কাজ করে। গ্রেফতারকৃতরা প্রত্যেকে বৈধ পেশার আড়ালে টঙ্গী ও রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর এলাকায় ছিনতাই করে থাকে।