শেষবারের মতো প্রিয় ক্যাম্পাসে ফ্রিজিং গাড়িতে (অ্যাম্বুলেন্স) করে আসলেন শাহরিয়ার। বৃহস্পতিবার সকালে তার মরদেহ পৌঁছায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদ চত্বরে। সেখানেই জানাজা শেষে তাঁকে বহনকারী গাড়িটি রওনা হয় নিজ বাড়ি দিনাজপুরের উদ্দেশে। সহপাঠী, শিক্ষক, স্বজন ও শিক্ষার্থীরা অশ্রুচোখে ক্যাম্পাস থেকে তাঁকে শেষ বিদায় জানান। বুধবার রাতে শাহরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের বারান্দা থেকে নিচে পড়ে যান। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান।

জানাজায় অংশ নিয়ে শাহরিয়ারের বড় ভাই গোলাম শাহরিয়ার সাকি বলেন, ‘আমার স্নেহের ভাইয়ের কফিনের যে ওজন তা নিতে পারব কিনা জানি না। তাকে সবাই ক্ষমা করবেন। ভালোবাসা ও সহানুভূতি জানানোর জন্য সহপাঠী ও শিক্ষার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, আমার ভাই এবং আমাদের পরিবারের জন্য দোয়া করবেন যেন আমরা শোক কাটিয়ে উঠতে পারি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, এভাবে একজন ছাত্রের মৃত্যু, শিক্ষক হিসেবে কখনো চাই না। ওর আচরণের কেউ কষ্ট পেলে তাকে ক্ষমা করবেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ যেকোনো ধরনের সহযোগিতার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি।

জানাজায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, ছাত্র উপেদষ্টা ড. তারেক নুরসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, শাহরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি দিনাজপুরের বিরল উপজেলায়। তিনি হবিবুর রহমান হলের ৩৫৪ নম্বর কক্ষে থাকতেন।