ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। তা না হলে গণঅভ্যুত্থান আসন্ন।’

সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দেড় যুগের দুঃশাসনে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে এখন রাজপথে নেমে এসেছে সারাদেশের মানুষ। রাস্তায় যানবাহন বন্ধ করে দিচ্ছেন, পথে পথে বাধা। হামলা, গ্রেপ্তার, মামলা করছেন। তারপরও গণসমাবেশমুখী কাফেলা দিন দিন বেড়েই চলেছে। চিড়ামুড়ি নিয়ে দিন-রাত হেঁটে কিংবা ভ্যানে-ট্রলারে করে এসে সমাবেশ মাঠে-ময়দানে, রাস্তায়, ফুটপাথে, গলিতে, ছোট্ট ঘরে গাদাগাদি করে একত্রে, এমনকি বাথরুমের পাশে কাটাচ্ছেন হাজারো দেশপ্রমিক জনতা। এই অভূতপূর্ব দৃশ্য, এদের অবদান-ত্যাগ বৃথা যাবে না। এই পরিস্থিতি উপলব্ধি করে আপনারা নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। তা না হলে গণঅভ্যুত্থান আসন্ন।’

গত ১৪ বছর ধরে সীমাহীন নির্যাতন নিপীড়নের শিকার মানুষ সর্বশক্তি নিয়ে সারাদেশে জেগে উঠেছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘গুম, খুন, অপহরণ, হামলা, মামলা ও জুলুম করে এতদিন মানুষকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা হয়েছিল। জনগণ আর ঘরে বসে বসে মাফিয়া সরকারের হাতে অসহায়ের মতো জান-মাল হারা হতে চায় না। জনগণ এবার আটঘাট বেঁধে শেষ প্রস্তুতি নিয়েই সব বাধা উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে এসেছে।’

বিএনপির মাত্র দুইটি গণসমাবেশ অবলোকন করেই বিনাভোটের সরকারের মন্ত্রীরা প্রলাপ বকতে শুরু করেছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসমুদ্র দেখে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, চট্টগ্রামে জব্বারের বলী খেলায় যে পরিমাণ লোক সমাগম হয়, বিএনপির সমাবেশে তাও হয়নি। বিএনপি হাঁকডাক করে মহাসমাবেশ নাম দিয়ে নাকি একটি ফ্লপ সমাবেশ করেছে।’

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমরা রাতকানা শুনেছি, কিন্তু এই প্রথম দিনকানা লোক দেখলাম। শত কোটি টাকা খরচ করে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খাঁ খাঁ করে প্যান্ডেল ছাড়া সমাবেশস্থল। বিদায়লগ্নে তাদের যেকোনো সমাবেশে লোক সমাগম এখন সুপার ফ্লপ হওয়াতে বিদ্বেষবশত: বিএনপি’র সমাবেশকে নিয়ে পাগলের প্রলাপ বকছে।’