কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে লালমনিরহাট জেলা পরিষদ নির্বাচন। আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় সেলিম হায়দায় নামে এক সদস্যপ্রার্থীর ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ২টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২২ এর রিটার্নিং অফিসার মোঃ আবু জাফর সূত্রে জানা যায়, লালমনিরহাট জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য পদে ওয়ার্ড নং-১ এ মোছাঃ রোকাইয়া সুলতানা সুমি (টেবিল ঘড়ি) ১শত ১৪টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। ওয়ার্ড নং-২ এ মেহেরুন নাহার (দোয়াত কলম) ২শত ৪৫টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
লালমনিরহাট জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে ওয়ার্ড নং-১ এ মোঃ ফরহাদ হোসেন লিটন (টিউবওয়েল) ৭১টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। ওয়ার্ড নং-২ এ মোঃ মনোয়ার হোসেন (তালা প্রতীক) ৮৩টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। ওয়ার্ড নং-৩ এ মোঃ মোজাম্মেল হক (টিউবওয়েল প্রতীক) ৬৯টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। ওয়ার্ড নং-৪ এ মোঃ মনছুর আলী (টিউবওয়েল প্রতীক) ৭৫টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
এদিকে লালমনিরহাট জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান হয়েছেন এ্যাড, মতিয়ার রহমান ও অপরদিকে ওয়ার্ড নং-৫ এ লালমনিরহাট জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সদস্য হয়েছেন মোঃ তাহমিদুল ইসলাম বিপ্লব।
আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় লালমনিরহাট জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪ নং ওয়ার্ডের (আদিতমারী উপজেলা) সদস্যপ্রার্থী সেলিম হায়দার (৫০) এর ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান।
সেলিম হায়দারের বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারীর ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের তালুক দুলালি গ্রামে। তিনি আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি।
লালমনিরহাট জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মোঃ আবু জাফর বলেন, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য হয়েও আজ ভোটের আগে রশিতে ঝোলানো নির্বাচনী পোস্টারে সেলিম হায়দার নিজেকে বর্তমান জেলা পরিষদের সদস্য উল্লেখ করেন। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সেলিম হায়দারকে জরিমানা করা হয়।
উল্লেখ্য যে, এ নির্বাচনে মোট ভোটের সংখ্যা ৬শত ২৪টি, মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৬টি, ফলাফল প্রাপ্ত ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৬টি। এতে ১৪জন সদস্য, ৮জন মহিলা সদস্যা পদের প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
এর আগে সর্বশেষ ২০১৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর এ জেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।