টি২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচেও হেরেছে সাকিব বাহিনী। ব্রিসবেনের ২২ গজি উইকেটে আজ বল হাতে প্রস্তুতিটা কোন ক্রমে পেরিয় গেলেও ব্যাট হাতে চরম বিপর্যয় দেখা গেছে। ৬২ রানের বড় হার হজম করে হোটেলে ফিরেছে টাইগার বাহিনী।
আফগানদের দেয়া ১৬১ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে স্কোরবোর্ডে একশ রানও তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে সাকিবরা করতে পারল মোটে ৯৮ রান। ত্রিদেশীয় সিরিজে টানা চার হারের পর বিশ্বকাপের মূল পর্বের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেয়ার শেষ সুযোগ এই প্রস্তুতি ম্যাচ। তবে সেখানেও নিজেদের ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা ধরে রাখলো বাংলাদেশ। কোনো রকম লড়াই করতে পারেনি সাকিবরা।
যদিও আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে বল হাতে বাংলাদেশের শুরুটা খারাপ ছিল না। শেষের কয়েকটা ওভার বাদে নিজেদের নিয়ন্ত্রণেই ছিল ম্যাচ। আফগানরা ৭ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১৬০ রান। টার্গেট তাড়া করতে নেমে ইতিবাচক ছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং। নাজমুল হাসান শান্ত আর মেহেদী মিরাজ মিলে প্রথম দুই ওভারে তোলেন ১৮ রান। তবে তারপরই যেন টিম টাইগার্সের ব্যাটিংয়ে মড়ক লাগে।
নাজমুল হাসান শান্তর বিশ্বকাপ দলে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে কম কথা হয়নি। টানা ব্যর্থতার জেরে সাব্বির, সাইফউদ্দিনরা শেষ মুহূর্তে স্কোয়াড থেকে বাদ পড়লেও টিকে যান শান্ত। অন্যদিকে শেষ মুহূর্তে দলে নেয়া হয়েছে সৌম্য সরকারকে। তবে বিশ্বকাপের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে আবারও ব্যাট হাতে ব্যর্থ তারা। তৃৃতীয় ওভারেই ফজল হক ফারুকীর বলে কাটা পড়েন শান্ত। সরাসরি বোল্ড হয়ে ফেরার আগে এই ওপেনার করেন ৯ বলে ১২ রান। শান্তর পর ব্যাট করতে নেমেছিলেন সৌম্য। যেন নামলেন আর উঠলেন। মুজিবের করা বল এগিয়ে এসে মারতে গিয়েছিলেন। উল্টো স্ট্যাম্পিং হয়ে ফিরেন। ফেরার আগে করেছেন ৪ বল খেলে ১ রান।
সৌম্যকে অনুসরণ করেন অধিনায়ক সাকিব এবং আফিফও। পঞ্চম ওভারের শেষ দুই বলে ফজল হক ফারুকীর দুই শিকার হয়ে ফিরে গেছেন তারা। দুজনই সমান চার বল মোকাবিলা করে রান করেছেন মোটে ১। ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ যখন ঘোরতর বিপর্যয়ে, এ সময় হাল ধরার দরকার ছিল অন্যদের। উচিত ছিল একপ্রান্তে সতীর্থদের আসা-যাওয়া দেখা মিরাজকে সঙ্গ দেয়া। একাদশে না থাকা ইয়াসির আলি রাব্বিকে সুযোগ দেয়া হয়েছিল ব্যাটিংয়ের। কিন্তু তিনি পারলেন না। ফরিদ আহমেদের বলে সাজঘরে ফিরলেন।
ত্রিদেশীয় সিরিজে রান পাননি, আজ প্রস্তুতি ম্যাচেও হতাশ করলেন ভাইস ক্যাপ্টেন নুরুল হাসান সোহান। ফরিদ আহমেদের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন উইকেটকিপার এ ব্যাটার। এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে হাসান মাহমুদ-সাকিবদের আঁটসাঁট বোলিংয়ে প্রথম থেকেই চাপে ছিল আফগানরা। তবে শেষদিকে মোমেন্টাম ধরে রাখতে পারেননি বোলাররা। দেদারসে রান বিলিয়েছেন।
১৮ ওভার শেষে আফগানদের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান। কিন্তু শেষ দুই ওভারে বেশ খরুচে ছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। ১৯ তম ওভারে সাকিব এক উইকেট তুলে নিলেও দুই ছক্কা ও এক চারে দেন ১৯ রান। এরপর ২০তম ওভারে তাসকিন ১ উইকেট নিয়ে দেন ১৪ রান।