গাজীপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোতাহার হোসেন মোল্লা জয়ী হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) আনিসুর রহমান এবং সহকারি রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী ইস্তাফিজুল হক আকন্দ যৌথভাবে সন্ধ্যায় বেসরকারীভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন।
নির্বাচনে জেলায় ৬৩৬ জন ভোটারের মধ্যে ৬২৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। তাদের মধ্যে একজনের ভোট বাতিল হয়েছে। নির্বাচনে ৬টি কেন্দ্রে ইভিএম’এর মাধ্যমে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। বেসরকারীভাবে ফলাফল ঘোষণা অনুযায়ী মোতাহার হোসেন মোল্লা (মোটরসাইকেল) ৩৩০ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদন্ধী প্রার্থী এস এম মোকসেদ আলম (আনারস) ২৯৪ ভোট পেয়েছেন। অপর প্রার্থী সামসুদ্দিন খন্দকার পেয়েছেন (চশমা) ৩ ভোট।
নির্বাচিত সদস্যরা হলেন-
সংরক্ষিত আসনে ১ নম্বর ওয়ার্ডে ১১৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মাহমুদা ইয়াসমিন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী রশিদা খন্দকার পেয়েছেন ১০৫ ভোট। সংরক্ষিত আসনে ২ নম্বর ওয়ার্ডে ২৩৯ ভোট পেয়ে উম্মে কুলসুম শিল্পী নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী তাসলিমা রহমান পেয়েছেন ৬৪ ভোট।
সাধারন সদস্য পদে ১ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী না থাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষনা করা হয়েছে।
সাধারন সদস্য পদে ২ নম্বর ওয়ার্ডে ৫১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আমিনুর রহমান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী আব্দুর রাজ্জাক পেয়েছেন ৪৭ ভোট।
সাধারন সদস্য পদে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুস সালাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী শহীদুল্লাহ সরকার পেয়েছেন ৩৮ ভোট।
সাধারন সদস্য পদে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৮১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আনিসুর রহমান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ইমান উল্লাহ শেখ পেয়েছেন ৪৭ ভোট।
সাধারন সদস্য পদে ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ৫৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী বেনজির আহমেদ পেয়েছেন ৪৮ ভাট।
চেয়ারম্যান পদে আরো দুই প্রার্থী এস এম মোকসেদ আলম এবং মুক্তিযোদ্ধা সামসুদ্দিন খন্দকার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন।
গাজীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনে সহকারি রিটার্নিং অফিসার কাজী ইস্তাফিজুল হক আকন্দ জানান, এবার গাজীপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন, সাধারণ সদস্য পদে ২০ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্য থেকে একজন চেয়ারম্যান, ৫ জন সাধারণ সদস্য এবং ২ জন সংরক্ষিত সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
