গাজীপুরে একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে সিলিন্ডারে গ্যাস ফিলিং করার সময় কাভার্ড ভ্যানের ভেতরে থাকা সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৫জন দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় পারভেজ মিয়া (৩৩) নামের আরো একজন মারা গেছেন। তিনি ওই কাভার্ডভ্যানের চালক ছিলেন। রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ওই ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক এসএম আইউব হোসেন জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পারভেজ মিয়া (৩৩) মারা গেছেন। তিনি চট্রগ্রামের হাটহাজারী থানার পশ্চিম দেওয়ান নগর এলাকার মৃত নাজিম উদ্দিনের ছেলে। তার শরীরের ৮৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। শ্বাসনালীও পুড়ে গিয়েছিল। এর আগে গত শুক্রবার সকালে আতিকুল ইসলাম মিঠু নামের দগ্ধ অপর একজন মারা যান। মিঠু ওই কাভার্ডভ্যানের শ্রমিক ছিলেন। বর্তমানে এ ইনস্টিটিউটে একই ঘটনায় দগ্ধ আল আমিন (২৫), আনোয়ারুল ইসলাম (২৭) ও সিরাজুল ইসলাম টুটুল (২৫) নামের অপর তিনজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি আরো জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাকী তিনজনের অবস্থাও আশংকাজনক। তাদের মধ্যে মো. আলামিনের শরীরের ৬০ শতাংশ, আনোয়ারুল ইসলামের ৩৫ শতাংশ ও সিরাজুল ইসলামের শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
পারভেজের মামা জাহিদ হোসেন জানান, চট্রগ্রামে থাকতেন পাভেজ। গাজীপুরের সিএনজি স্টেশনে গ্যাস নেওয়ার সময় যে কাভার্ডভ্যানে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ও অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছিল সেটির চালক ছিলেন পারভেজ।
প্রসঙ্গতঃ বৃহষ্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর গাজীপুর মহানগরীর বড়বাড়ী এলাকার হাজী ওয়াহেদ আলী সরকার সিএনজি ফিলিং স্টেশন থেকে মেসার্স জুনাইদ এন্টার প্রাইজের একটি কাভার্ডভ্যানের ভেতরে থাকা প্রায় একশ’ সিলিন্ডারে গ্যাস ফিলিং করার সময় একটি সিলিন্ডার বিষ্ফোরিত হয়ে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে কাভার্ডভ্যানের আশেপাশে থাকা আল আমিন (২৫), পারভেজ (৩৩), আনোয়ারুল ইসলাম (২৭), সিরাজুল ইসলাম টুটুল (২৫) ও আতিকুল ইসলাম মিঠু (২৭) সহ ৫জন আগুনে দগ্ধ হন। তাদেরকে প্রথমে স্থানীয় তায়েরুন্নেছা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়।