সুজা তালুকদার চট্টগ্রাম থেকে

বাংলালিংক গত এক বছরে চট্টগ্রাম বিভাগে নেটওয়ার্ক কাভারেজ ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রামে টাইম ডিভিশন ডুপ্লেক্স (টিডিডি) প্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলালিংক-এর ২.৩ গিগাহার্জ ব্যান্ডের নতুন স্পেকট্রামের ব্যবহারও শুরু হয়েছে। প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে এই অঞ্চলের বাংলালিংক গ্রাহকরা এখন দ্বিগুণ গতির মোবাইল ইন্টারনেট উপভোগ করতে পারবেন।

আজ চট্টগ্রামে আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে বাংলালিংক-এর স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান ভিওন-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কান তেরজিওগ্লু এই ঘোষণা দেন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন-এর মাননীয় মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)-এর চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার এই প্রেস কনফারেন্সে যথাক্রমে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংক-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস, বাংলালিংক-এর চিফ কমার্শিয়াল অফিসার উপাঙ্গ দত্ত, বাংলালিংক-এর চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, বাংলালিংক-এর রিজিওনাল ডিরেক্টর সৌমেন মিত্র ও প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

দেশের সব অঞ্চলের গ্রাহকদের জন্য সর্বোচ্চ গতির ফোরজি নেটওয়ার্ক ও মানসম্মত ডিজিটাল সার্ভিস নিশ্চিতের লক্ষ্যে বাংলালিংক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করছে। গত নয় মাসে সারা দেশে বাংলালিংক-এর ৩২০০টিরও বেশি বেইজ ট্রান্সসিভার স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া গত মাসে দেশের প্রথম অপারেটর হিসেবে ২.৩ গিগাহার্জ ব্যান্ডের নতুন তরঙ্গ দিয়ে ও টাইম ডিভিশন ডুপ্লেক্স (টিডিডি) প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ফোরজি চালু করেছে বাংলালিংক।

প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলস্বরূপ বাংলালিংক এই বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। সম্প্রতি টানা তৃতীয় বছরের মতো দেশের সর্বোচ্চ গতির মোবাইল নেটওয়ার্ক হিসেবে ওকলা-এর স্বীকৃতিও পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন-এর মাননীয় মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন,“চট্টগ্রাম বিভাগে নেটওয়ার্ক কাভারেজ সম্প্রসারণের জন্য বাংলালিংক-এর চলমান উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। আমরা গত কয়েক বছরে চট্টগ্রামে যে প্রযুক্তি অবকাঠামো গড়ে তুলেছি, সেটিকে এই ধরনের উদ্যোগ আরও মজবুত করবে। আমি আশা করি, ভবিষ্যতেও বাংলালিংক এভাবে চট্টগ্রামকে প্রযুক্তির দিক থেকে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করে যাবে।”

বিটিআরসি-এর চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন,“দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও মানসম্পন্ন ডিজিটাল সেবা প্রদান করে বাংলালিংক ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করে চলেছে। দেশের সব প্রান্তে আধুনিক ডিজিটাল অবকাঠামো নিশ্চিত করার জন্য সরকারের যে লক্ষ্য, সেটির সাথে বাংলালিংক-এর এই প্রচেষ্টা সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমরা বাংলালিংক-এর ধারাবাহিক সাফল্য কামনা করছি এবং তাদেরকে সব ধরনের সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।

বাংলালিংক-এর স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান ভিওন-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কান তেরজিওগ্লু বলেন,“ ভিওন ইতোমধ্যে বাংলাদেশে দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। প্রবৃদ্ধির এই ধারা বজায় রাখতে চট্টগ্রামের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে আমাদের নেটওয়ার্কে বিপুল বিনিয়োগ করা হচ্ছে। আমাদের চলমান প্রচেষ্টা বাংলালিংক-এর সেবার মান আরও উন্নত করে ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনবে বলে আমি মনে করি।”

বাংলালিংক-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস বলেন,“সমগ্র দেশে বিস্তৃত একটি অপারেটর হওয়ার লক্ষ্যে আমরা দ্রুত গতিতে আমাদের শক্তিশালী ফোরজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করছি। বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে জাতীয় গুরুত্বের কারণে চট্টগ্রাম আমাদের সম্প্রসারণ পরিকল্পনায় বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। এই বিভাগের সাধারণ গ্রাহক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান – উভয়ই আমাদের সম্প্রসারিত নেটওয়ার্ক কভারেজের সুবিধা পাবে।”

প্রেস কনফারেন্স শেষে মেয়র বাংলালিংক-এর কিয়স্ক পরিদর্শন করেন এবং এর দ্রুততম মোবাইল ইন্টারনেট ও ডিজিটাল সার্ভিস টফি, হেলথ হাব ও অ্যাপলিংক ব্যবহার করে দেখেন।