গাজীপুরে সড়কের পাশে ফেলে রাখা ওয়ারড্রবের ভিতর থেকে হাত-পা বাঁধা এক গার্মেন্টস কর্মীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের গলায় গামছা দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করা ছিল। শনিবার ময়না তদন্তের জন্য নিহতের লাশ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহতের নাম সাবিনা খাতুন (৩০)। তিনি কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানার দারারপাড় গ্রামের আয়নাল হকের মেয়ে।

জয়দেবপুর থানার ওসি মাহাতাব উদ্দিন জানান, শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বিকেবাড়ি এলাকার সিকদার মার্কেট সংলগ্ন সড়কের পাশে প্লাই উডের তৈরী একটি নতুন ওয়ারড্রব দীর্ঘ সময় ধরে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ওয়ারড্রবের ভিতর থেকে ওড়না ও গামছা দিয়ে হাত-পা বাঁধা এক যুবতীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তার গলায় গামছা দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করা ছিল। স্থানীয় গ্রাম্য পুলিশের সদস্য রেজাউল ইসলামের মাধ্যমে স্বজনরা ঘটনাস্থলে এসে নিহতের লাশ শনাক্ত করেন। সুরতহাল শেষে শনিবার ময়না তদন্তের জন্য নিহতের লাশ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরো জানান, দুর্বৃত্তরা তাকে হাত-পা বেঁধে অন্য কোথাও শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পরে তারা লাশটি ওয়ারড্রবে ঢুকিয়ে তা একটি পিকআপযোগে রাতের আঁধারে এনে সেখানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এঘটনায় দুইজনকে থানা এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

নিহতের ভাই জসিম উদ্দিন জানান, গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন নাওজোর এলাকার ভাড়া বাসায় একা থাকতেন সাবিনা। তিনি স্থানীয় গার্মেন্টসে চাকুরি করতেন।