আওয়ামী লীগ সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ময়মনসিংহ শহরের পলিটেকনিক মাঠে আজ শনিবার বিকেলে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কখনই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। তাই এই সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে এবং সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে।

তিনি বলেন, একটা বিষয়ে আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, দলীয় সরকার থাকলে কোনো নির্বাচন কোনোদিন সুষ্ঠু হবে না। সেটা প্রমাণ হয়েছে।

এ সময় গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ১৩৮০টা সিসি ক্যামেরা ছিল, পর্যাপ্ত নাকি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল, পুলিশ-র‌্যাব পাহারায় ছিল, তারপর ওই নির্বাচন দুপুরের মধ্যে বন্ধ ঘোষণা করতে হয়েছে। এ থেকেই প্রমাণ হয়, দলীয় সরকারের অধীনে কখনও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না।

খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, জ্বালানি তেল, চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের গুলিতে হত্যা, হামলা এবং মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে আজ শনিবার এই বিভাগীয় গণসমাবেশ করছে বিএনপি।

সমাবেশের প্রধান অতিথি দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে- স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপি চেয়ারপার্সনে উপদেষ্টা মশিউর রহমান। সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলাম। পূর্বনির্ধারিত সমাবেশ সফল করতে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর, শেরপুর ও কিশোরগঞ্জ জেলার নেতাকর্মীরা অংশ নিচ্ছেন।

সমাবেশকে ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা শুরু হয় ময়মনসিংহ শহরে। গতকাল শুক্রবার মহানগর আওয়ামী লীগ নগরীর রেলওয়ে কৃষ্ণচূড়া চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ ও শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। আজও জেলা আওয়ামী লীগ ও মহানগর আওয়ামী লীগ মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দের বাসায় হামলার চেষ্টা করা হয়, ওই দিন দুপুরে নতুন বাজার এলাকার পার্টি অফিসকে ঘিরে যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতারা মোটরসাইকেল দিয়ে মহড়া দেয়। সন্ধ্যায় টাউনহল এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় অন্তত ৪ জন আহত হন।