নারী এশিয়া কাপ ২০২২ কাভার করতে ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে বাসে উঠলাম। তখনও মনে হয়নি এভাবে আক্ষেপের একটি আসর শেষ করে খালি হাতেই ফিরতে হবে। আক্ষেপটা মুলত গ্রুপ লেবেলে বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার ম্যাচ দিয়ে শুরু। বৃস্টির কারণে ম্যাচ বাংলাদেশ ইনিংসে ৪২ বলে ৪১ টার্গেট দেয় ম্যাচ রেফারি। সেটা না হবার কোন কারণ ছিল না। মাত্র ৩টি রান হলো না, আর বাংলাদেশের সেমিতে খেলা হলো না।
পর দিন সিলেটের আকাশে বৃস্টি সকাল থেকে দুপুর অবদি কেঁদেই চলেছিল। যে কারণে ম্যাচ পরিত্যাক্ত ঘোষণা আসে। সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের ড্রেসিং রুমে কান্নার রোল লেগে যায়। ১ পয়েন্ট ভাগাভাগি হয়ে যাওয়ার ফলে নিগার বাহিনী থাইল্যান্ডের মেয়েদের পেছনে পড়ে বাদ হয়ে গেল। এক ম্যাচ না খেলেই সেমি থেকে বাদ!
এই আক্ষেপটার সঙ্গে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটের স্পিনার রুমানা আহমেদের আক্ষেপটাও কম না। বাংলাদেশ যদি সেমিতে খেলতে পারত, তাহলে ফাইনালের সুযোগ হাতেই থাকত। সে হিসেবে বাংলাদেশ দলের স্পিনার রুমানার আজ আসরের সেরা উইকেট শিকারের পুরস্কারটা হাতে উঠতে পারত।
৮ ম্যাচ খেলে ভারতের দিপ্তি শর্মা ৮ ইনিংসে ১০০ রান দিয়ে শিকার করেছেন ১৩ উইকেট। অপর দিকে লঙ্কান স্পিনার ইলোকা ১৩ উইকেট নিয়েও ১২১ রান দেবার কারণে দ্বিতীয় হলেন।
মুলত আক্ষেপটা সেখােনেই, বাংলাদেশের রুমানা যদি ১১ অক্টোবর আমিরাতের বিপক্ষে খেলতে পারতেন, ম্যাচটা হতো, তাহলে তিনি উইকেট পেতেন না এমনটা বলা উপায় ছিল না। যদি সেটা হতো, তাহলে সেমিতে খেলতে পারলে আরো উইকেট যোগ হতেই পারত রুমানার নামের পাশে।
৭৯ টি২০ ম্যাচ খেলা রুমানার এবারের এশিয়া কাপে ৫ ম্যাচে ৫ ইনিংসে ১২ ওভার বল করে ২ মেডেন দিয়ে রান দিয়েছেন মাত্র ৫৮টি, কিন্তু উইকেট শিকার করেছেন ১০টি! তাহলে তো বলা যেতেই পারে সেমি অবদি খেলতে পারলে রুমানার নামের পাশে আরো ৩/৪ উইকেট যোগ হতে পারত। সেক্ষেত্রে রুমানা হতে নারী এশিয়া কাপ ২০২২-এর সেরা উইকেট শিকরী।
এমন নয় যে, দল সেমি অবদি খেলেছে কিন্তু রুমানা উইকেট পাননি! তা কিন্তু নয়, বরং উল্টো ঘটনাই ঘটেছে। দল খেলতে পারেনি বলেই রুমানা সেরা হওয়া থেকে বঞ্চিত হলেন। তাই বলা যায়, এই আসর শেষে রুমানা আহমেদের আক্ষেপ থাকতেই পারে।