ফাইনাল বলতে যা বোঝায় তা আজ সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে ছিলই না। এক তরফা ম্যাচ অনুষ্ঠিত হল। ৭ম বারের মতো নারী এশিয়া কাপের ফাইনাল জিতে শিরোপা নিয়ে গেল ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল। স্মিরিথির ২৫ বলে ৫১ রান, তাতে ৬টি বাউন্ডারি আর ৩টি ছক্কার মারেই লঙ্কান বোলারদের অসহায়ত্ব প্রকাশিত হয়ে পড়ে।

৮ উইকেটে হারিয়ে ভারত মুলত শ্রীলঙ্কার নারী ক্রিকেট দলকে পাত্তাই দেয়নি। গ্রুপ ম্যাচে বাংলাদেশের জেতা ম্যাচ হতবাক করে ভাগ্যের জোড়ে ৩ রানে বৃষ্টির কারণে জিতে যায় লঙ্কান নারী দল। এতে বাংলাদেশ সেমিতেই আর খেলতে পারেনি। অন্যদিকে সেমিতে পাকিস্তানের নিশ্চিত জেতা ম্যাচ সেই ‘ভাগ্য’-র জোড়েই ১ রানে জিতে যায় লঙ্কানরা। হয়তো দুই দলের কষ্ট-টা লঙ্কা-ভারত ফাইনাল ম্যাচে জন্য তোলা ছিল।

ম্যাচের কোন বিভাগেই দাঁড়াতে পারেনি লঙ্কান নারী ক্রিকেট দল। কি চিন্তা করে লঙ্কান অধিনায়ক চামারা আথাপাতু টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিলেন সেটা তিনিই ভাল বলতে পারবেন! লঙ্কান ব্যাট করার সিদ্ধান্ত ভূল বলে প্রমান করে দিল ভারতীয় নারী বোলিং বিভাগ। মাত্র ৬৫ রানে অলআউট করে শ্রীলঙ্কার নারী দলের ব্যাটিং লাইনআপকে। ওসাদির ১৩ আর ইনোকার ১৮ রান ছাড়া লঙ্কান দলের কোন নারী ব্যাটার ভারতের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারেনি।

মাত্র ৬৬ রানের জবাবে ভারতের ওপেনিং জুটি সংগ্রহ করে ৩২ রান। ওপেনার শেফালি ভার্মা স্ট্যাম্পিং হবার আগে যোগ করেন  মাত্র ৫ রান। অপর ওপেনার স্মিরিথি টিকে থাকলেও সঙ্গে থাকা জেমিমা ২ রানে বোল্ড আউট হলেও ম্যাচ ভারতের নিয়ন্ত্রণেই ছিল। কারণ অধিনায়ক হারমানপ্রিথ ক্রিজে এসে হাল ধরলেন। ৪.৩ ওভারে ৩৫/২, ফাইনালের শিরোপা হাতে নিতে ভারত তখন ৫.৩ ওভারে ৪১ রানে। জয় পেতে দরকার ৮৭ বলে মাত্র ২৫ রান। আর শেষ দিকে ৭২ বলে দরকার পড়ে ৭ রান!

স্মিরিথি আর অধিনায়ক হারমানপ্রিথের জুটি ভারতকে ৭ বারের শিরোপার সামনে নিয়ে যেতে লঙ্কান কোন আক্রমণ সফল হতে দিলেন না। ৪১ রানের পাটর্নারশীপ গড়ার শেষ সময়ে স্মিরিথি চার মারলে ভারতীয় ড্রেসিং রুমে তখন আনন্দ করার জন্য প্রস্তুতি চলছে। স্মিরিথি ফাইনাল ম্যাচে ৩য় ছক্কা মারলেন, স্কোর ছিল ৬৫/২ থেকে স্মিরিথির ছক্কায় স্কোর পৌছে যায় ৭১/২। মুহুর্তেই ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল মাঠে ঢুকে পড়ে, হাতে ‍তুলে নেয় স্ট্যাম্প গুলো।