সুজা তালুকদার চট্টগ্রাম থেকে

গত ১২ অক্টোবর ২০২২ আনুমানিক ০০৪০ ঘটিকায় চট্টগ্রাম সদরঘাট ও কর্ণফুলী ঘাটের মাঝামাঝি স্থানে এফভি মাগফিরাত নামের ০১ টি ফিশিং ট্রলার বয়ার সাথে মুরিং এ থাকাকালীন অবস্থায় রশি পেঁচিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে কর্ণফুলী নদীতে ডুবে যায়। বিষয়টি কোস্ট গার্ড পূর্ব জোন জানার পর বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ঘাঁটি চট্টগ্রাম হতে ৫ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌছায়।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ডুবে যাওয়া ট্রলারটির আংশিক অংশ দেখতে পায়। পরবর্তীতে মালিকপক্ষের সাথে কথা বলে জানা যায় উক্ত ফিশিং ট্রলারে ২০ জন ক্রু এর মধ্যে ১৪ জন ক্রু সাঁতার কেটে নদীর তীরে উঠতে পারলেও ৬ জন ক্রু নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারের  জন্য বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনের একটি চৌকস ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। গত ১৩ অক্টোবর ২০২২ উদ্ধার অভিযান চলাকালীন নেভাল বার্থ—৬ এর কাছাকাছি একটি লাশ, ১১টা ৩০ মিনিটে ড্রাই ডক এর বিপরীত দিকে একটি লাশ, ১১টা ৫০ মিনিটে মেরিন একাডেমির সামনে ভাসমান অবস্থায় একটি লাশ এবং ২টা ৪৫ মিনিটে সদরঘাট সংলগ্ন এলাকার মাঝ নদী থেকে একটি লাশ উদ্ধার করে।

পরবর্তীতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ঘাঁটি চট্টগ্রাম কতৃর্ক লাশ ৪টি চট্টগ্রাম নৌ পুলিশ এর নিকট হস্তান্তর করে।  আজ  ১৫ অক্টোবর মেরিন সেলভেজ বার্জ—১ এন্ড জেনুইন এন্টারপ্রাইজ কর্তৃক ফিশিং ট্রলারটি ফিশারিজ ঘাটে সেলভেজ করানো হয়। সেলভেজ অবস্থায় আনুমানিক ৮টা ৩৫ মিনিটে কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনের একটি চৌকস ডুবুরি দল ইঞ্জিন রুম থেকে ১ টি এবং ক্রু কেবিন হতে ১ টি লাশ উদ্ধার করে।

উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব প্রদান করেন লেঃ কমান্ডার বি এম তানজিমুল ইসলাম (ট্যাজ) বিএন। পরবর্তীতে লাশ ২ টি সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে চট্টগ্রাম নৌ পুলিশ এর নিকট হস্তান্তর করা হয়। নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবার এবং ফিশিং ট্রলারের মালিক পক্ষের সাথে কথা বলে জানা যায় আর কোন লাশ নিখোঁজ না থাকায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড কর্তৃক অদ্য উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।