লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় অবস্থিত দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ এলাকা পরিদর্শন করে গেলেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিংসহ ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। রোববার (৯ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে এ সেচ প্রকল্প পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় তার সাথে তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন এমপি।
চীনা রাষ্ট্রদূতের সাথে তিস্তা ব্যারেজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের মোতাহার হোসেন এমপি জানান, তিস্তাকে নিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং’কে দেখে মনে হলো তার মনোভাব পজেটিভ। আমরা আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে সু-খবর পাবো। ভারতকে উদ্দেশ্য করে স্থানীয় সাংসদ মোতাহার হোসেন এমপি বলেন, আমি চীনা রাষ্ট্রদূতকে বলেছি তারা তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে দিতে চায় ২ হাজার ১৪ কোটি টাকা আর চায়না দিতে চায় আট হাজার ৪ শত কোটি টাকা। এটা কিভাবে সম্ভব।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এই যে আমাদের পানিতে ঢুবায় কারা, এরা (ইন্ডিয়া)। বর্ষা মৌসুমে গজলডোবার সব গুলো গেট খুলে দিয়ে আমাদের পানিতে ডুবায় আবার খড়া মৌসুমে সব গুলো গেট সিল করে দেয়। ইন্ডিয়ার বাধায় এ প্রকল্প বাধা গ্রস্ত হতে পারে কিনা সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নে তিনি বলেন, চায়না তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারলে সব থেকে ভালো। কারণ আমি ৫-৬ বার ইন্ডিয়াকে দেখে এসেছি তারা আমাদের জন্য কিছুই করতে পারেনি। যত কোটি টাকা লাগুক চায়না এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিংসহ ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি দল লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলায় চীনা কোম্পানী কৃর্তক বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শনের পাশাপাশি তিস্তা ব্যারাজ এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় আমি তাকে তিস্তা নদী নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছি। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে যে সফলতা আসবে তা নিয়েও কথা বলেছি। তার সাথে কথা বলে মনে হলো তিনি বিষয়টি পজেটিভ ভাবে গ্রহণ করেছেন। আমরা আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে সু-খবর পাবো।