নারী এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ৯ উইকেটে পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরে চাপেই ছিল। হারের পর দলের পক্ষথেকে সালমা খাতুন বলেছিলেন, আজ দিনটা আমাদের ছিল না, তাই এতো প্রশ্ন উঠছে। আমরা ঘুরে দাঁড়াব’ কথা রেখেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। আজ মালেশিয়ান নারী ক্রিকেট দলকে নিয়ে চেলে-খেলা খেলেছে নিগার বাহিনী। ১৮.৫ ওভারে মালেশিয়ান নারীদের অলআউট করেছে ৪১ রানে।

৮৮ রানের জয়ের ম্যাচে বাংলাদেশের ওপেনার মুর্শিদা আর নিগারের জোড়া ফিফটির পর বাঁ-হাতি পেসার ফারিহা ইসলাম তিশনার হ্যাট্রিক ছিল শুধু নিজেদের যোগ্য প্রমাণের মঞ্চ। ব্যাট আর বলে নিগার বাহিনী যেন বলতে চেয়েছে আমরা পারি। সত্যিই পারে নিগার বাহিনী

আজ নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নামে। এবং ২০ ওভারের কোটা শেষ করে ১২৯/৫ রানে। ১৩০ রান করতে হবে মালেশিয়ান নারী ক্রিকেট দলকে।

টস জিতে ব্যাট করতে নামা ওপেনার শামিমা সুলতানা ১ম ওভারের প্রথম বলেই এলবি’র ফাঁদে কাটা গেলেন। অপর ওপেনার মুর্শিদা খাতুন ৩য় ব্যাটার ফারজানাকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাইলেও হলো না। ১০ রান করে ফারজানা হক ২৪ বল খেলে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হলেন।

এরপর শুধুই ইতিাস,মুর্শিদা আর অধিনায়ক নিগার সুলতানার ৩য় জুটি দলকে ১০০ রানের কোটা পার করে দিলেন। দুই জনেই করলেন ফিফটি। ৮.২ থেকে ১৮.৫ ওভার পর্যন্ত তৃতীয় জুটি খেলেছে গেছে মালেশিয়ান নারী দলের বোলারদের।

১৮.৫ ওভারে নিগার ৩৪ বলে ৬ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কার মার দিয়ে করলেন ৫৩ রান, ক্যাচ তুলে বিদায় নেবার ১ বল পরেই (১৮.৬ ওভারে) মুর্শিদা খাতুন ৫৪ বলে ৬ বাউন্ডারি দিয়ে ৫৬ রানে রান আউট হলেন। এর পর আরো একটি উইকেটের পতন ঘটলে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ২০ ওভারে ১২৯/৫।

১৩০ রানে বিশাল রানের টার্গেটে দৌড় দিতে গিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ে মালেশিয়ান নারী ক্রিকেট দল। ১৪ রানেই হারিয়ে বসে ৩ উইকেট, ৬ ওভারের ২,৩ ও ৪ নম্বর ডেরিভারতে টানা তিন উইকেট পতন ঘটনালেন পেসার তিশনা। এই আসরে প্রথম হ্যাট্রিকের ইতিহাস-টা এখন লাল-সবুজের দখলে।

এরপর আর দাঁড়াতেই দেয়নি বাংলাদেশের বাঘিনী বোলাররা, ৪১ রানেই অলআউট (১৮.৫ ওভার) । নাহিদা, ফাহিদা, সানজিদা আর রুমানা নেন ২টি করে উইকেট। আর ৩ উইকেটের হ্যাট্রিক ছিল তিশনার দখলে। ম্যাচ সেরা হলেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা।