দখলকৃত পশ্চিমতীরের নাবলুসের কাছে অভিযান চলাকালে ইসরাইলি বাহিনী স্থানীয় এক টিভি চ্যানেলের দুই সাংবাদিকের ওপর গুলি চালিয়েছে। তাদের হামলায় এক ফিলিস্তিনি যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন সাংবাদিকসহ ছয়জন।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে।
এর আগে চলতি বছরই ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে আল-জাজিরার প্রভাবশালী সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহের মৃত্যু হয়। তার মাথার পেছনের অংশে গুলি লাগে।
ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফার খবরে বলা হয়, সংঘর্ষ চলাকালে ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে আহত হন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন নেটওয়ার্ক প্যালেস্টাইন টিভির দুই কর্মী মাহমুদ ফাউজি ও লোয়া আল সামহান। তাদের একজনের হাতে এবং একজনের কাঁধে গুলি লাগে।
ইসরাইলি সেনারা অভিযান চালানোর সময় নিউজ কাভার করছিলেন এই দুই সাংবাদিক। তাদের লক্ষ্য করে সরাসরি গুলি চালায় ইসরাইলি সৈন্যরা।
এই হামলায় ২১ বছর বয়সী আলা নাসের আহমেদ জগাল নিহত হন। ইসরাইলি বাহিনীর ছোঁড়া গুলি তার মাথা লাগে।
এদিকে ইসরাইলের সেনাবাহিনী জানায়, তারা ‘হামাস সক্রিয় কর্মী’ হিসেবে অভিহিত করে ৩৫ বছর বয়সী সালমান এমরানকে গ্রেফতারে সেখানে অভিযান চালায়। হামলার পরিকল্পনা করা হামাস সামরিক নেটওয়ার্কের হয়ে কাজ করায় আগে তার কারাদণ্ড হয়েছিল।
প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের মহাসচিব হোমেসন আল-শেখ যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সাথে আলোচনার জন্য ওয়াশিংটন সফর করার পর সেখানে এ অভিযান চালানো হলো।
হোয়াইট হাউস মঙ্গলবার জানায়, সুলিভান সন্ত্রাসবাদ দমনের মাধ্যমে পশ্চিম তীরে উত্তেজনা হ্রাসে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছর ১৬৫ জন ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এদের মধ্যে অবরুদ্ধ গাজ উপত্যকার ৫১ জন। এবং পশ্চিমতীর ও পশ্চিম জেরুসালেমের ১১০ জন। অপরদিকে গত মে থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে দু’জন ইসরাইলি সেনার মৃত্যু হয়েছে ফিলিস্তিনিদের গুলিতে।
সূত্র : আল-জাজিরা ও মিডল ইস্ট আই