আহাদী বয়াতি কান্দি, জাজিরা, শরীয়তপুর, এই এলাকার অধিবাসীদের কাছে থেকে জানা গেছে প্রশাসনের অবহেলায় সাধারণ গ্রামবাসীর জীবন কতটা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
আহাদী বয়াতি কান্দি, গ্রামের এক বাসিন্দা দৈনিক বার্তাকে জানিয়েছেন এই গ্রামের ২/৩ হাজার মানুষের করুণ কাহিনী। কোন এক সময় পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে এ গ্রামের প্রায় সবই স্রোতে ভেসে যায়। অল্প কিছু অবশিষ্ট আছে। চর জেঁগে উঠার কারণে এই গ্রামে মানুষ বেঁচে আছে। এই গ্রামের আসা-যাওয়ার জন্য ছোট্ট একটি কালভার্ট ছিল। সেটা নদীর স্রোতে ভেসে গেছে। কালভার্ট-র জায়গাটিতে সরকারী ভাবে ২০১৮ সালের আগে নদী খননের নামে সরকারী আদেশে সে সময় নৌ মন্ত্রনালয় মাটি কাটার আদেশ দেয়। এর ফলে পদ্মা নদীর স্রোতের তোড়ে দিন দিন এখানে নতুন করে আরেকটি নদী সৃষ্টি হয়। কালভার্ট-টি ভেঙ্গে ভেসে যাবার পর ২০২০ সালে একটি কাঠের সাকোঁ তৈরি করা হয়। যা এখন এলকা বাসীর কাছে শুধুই স্মৃতি।
আজ এই গ্রামের ২/৩ হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে। এই গ্রামের জন্য সরকারী কোন বাজেট আজও অনুমোদন হয়নি। হয়নি কোন ব্রিজের পরিকল্পনা। তাহলে এ কোন উন্নতি, জানতে চাইলেন আহাদী গ্রামের এক বাসিন্দা। বলেন, আমার নিজ গ্রামে ঢোকার জন্য প্রবেশ পথ অর্থাৎ আহাদী বয়াতি কান্দি, জাজিরা, শরীয়তপুর। ২০২২ সালে এসেও কেন এই অবস্থা ? এ কেমন পৌরসভা এলাকা? অথচ মানুষ পৌর কর পরিশোধ করে থাকে। শত শত নারী শিশু বৃদ্ধ, কত কষ্ট করে পার হয় এই ভয়ানক স্থানটি।
সরকারী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে ফোন করা হয় সেখানকার ২নং ওয়ার্ড-র আওয়াামী লীগের সভাপতি শেরু জমদ্দারের সঙ্গে। তিনি ২নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলরও ছিলেন। মুঠোফোনে তিন দৈনিক বার্তাকে বলেন, ‘২ বছর আগে এখানে মাপ নিয়ে গেছে। এরপর আর কোন কিছু জানি না। এলজিআরডির পক্ষথেকে এই মাপের পর আজও কোন খবর নেই। এর বেশি কিছু জানি না’।
জাজিরা পৌরসভার, ২নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর সোলায়মান সরদারকে মুঠোফোনে প্রশ্ন করা হলে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ভাইরে আমার যদি ক্ষমতা থাকত তাহলে আমি একটা ব্রিজ করে দিতাম। এই খাল দিয়া প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আসা-যাওয়া করে। অনেক মানুষ পানিতে পরে মারাও গেছে। কারে বলমু, কন?’