পাবনার ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক রনেশ মৈত্র’র অন্তোষ্টিক্রিয়া শুক্রবার বিকেলে পাবনা মহাশ্মশানে সম্পনন হযেছে। গত সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আজ শুত্রবার সকালে ঢাকা থেকে তার মরদেহ পাবনার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সকাল থেকে পাবনা শহরের দিলালপুর মহল্লায় রনেশ মৈত্র’র ভাড়া বাড়ীতে ভীড় করেন তার স্বজন, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রতিবেশী সহ সমাজের সকল স্তরের মানুষ। বেলা সাড়ে ১২ টার কিছু পরে রনেশ মৈত্র’র শবদেহ বহনকারী গাড়ীটি তার বাড়ীর সামনে এসে পৌঁছালে শোকের ছায়া নেমে আসে।
প্রয়াত রনেশ মৈত্র’র সহধর্মীনি পূরবী মৈত্র বলেন, রনেশ মৈত্র তার জীবদ্দশায় নিজের জন্য কিছুই করতে পারেননি। মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত তিনি যে বাসায় থাকতেন তা একটি অর্পিত সম্পত্তি।
দুপুর ২ টায় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য প্রয়াত রনেশ মৈত্র’র মরদেহ পাবনার বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল স্বাধীনতা চত্বরে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান সূচক গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, রাজনীতীবিদ, সাংবাদিক সহ বিভিন্ন সামাজিক, পেশাজীবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা সেখানে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান।
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার ও পাবনা ১ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বলেন, রনেশ মৈত্র‘র মৃত্যুতে পাবনার রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংবাদিকতায় যে অপুরনীয় ক্ষতি হয়েছে তা সহজে পূরণ হবার নয়।
স্বাধীনতা চত্বর থেকে তার মরদেহ এর পরে পাবনা প্রেসক্লাবে নেওয়া হয়। প্রেসক্লাব ও সকল গণমাধ্যম কর্মি তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। সেখান থেকে বিকেলে তার অন্তোষ্টিক্রিয়ার সম্পন্ন করা হয় মহাশ্মাশানে।