বাগেরহাটের মোল্লারহাট উপজেলার গাংনী ইউনিয়নে রাজপাড় এক বিধবা নারীর জমি দখল করেছে প্রতিপক্ষরা। জায়গা দখল করে গাছ কেটে ঝুপড়ি ঘর বানোর অভিযোগ উঠেছে। বিধবা নারী তহমিনা খাতুন জানায় তার স্বামী মৃতঃ মিজানুর রহমান ১৯৯৯ সালে এই জমি ক্রয় করে। এর পর থেকে এত বছর ধরে তিনি জমি ভোগ দখল করে আসছে। এই জমিতে তহমিনা খাতুন অনেক ধরনের গাছ লাগিয়ে একটি বাগান তৈরী করে বলে জানান। এই জমির ভাগ বন্টন নিয়ে বিভিন্ন সময়ে একই গ্রামের বাসিন্দা জামাল ফকির ও খায়ের সিকদারের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এক র্পযায় বিধবা নারী কোটে মামলা দায়ের করে।

আদালতে মামলা চলমান অবস্থায় গত বুধবার (২৮ – ০৯ – ২০২২) তারিখে তার জায়গার অর্ধশতাধিক গাছ পালা কেটে নিয়ে যায় ও একটি ঝুপড়ি ঘড় তৈরি করে, জামাল ফকির, খায়ের সিকদার, রহমত,ফুল ও জের আলি সহ আরও অনেকে।

বিধবা নারী তহমিনা আরো বলেন আমাকে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের হুমকি প্রদান করে আসছে, এই জমি ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভোগ দখলে আছি কিন্তু গত বুধবার তারা গাছ কেটে জোর করে আমার জমি দখল করে।

এ ব্যাপারে জামাল কফিরের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি দেশের বাহিরে থাকা অবস্থায় তহমিনা আমার স্ত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আমাদের জায়গা দখল করে, তহমিনা প্রকৃত পক্ষে পৌনে আট শতক জমি পাবে কিন্তু সেখানে তিনি বেশি জায়গা ভোগদখল করে আসছেন। এই জায়গায় একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা সহ আমার নানা বাড়ির বহু আত্মীয় স্বজনের কবর রয়েছে।
তিনি আরও দাবি করে বলেন, ঝুপড়ি ঘরটি আরও অনেক আগে থেকে তৈরী করা হয়েছে।

খায়ের সিকদার বলেন, আমাদের এই জমি ১৯৯৯ সালে মিজানুর রহমান কিনে দখল করে আমাদের তখন কোনো কেউ ছিলো না তাই আমরা ওই সময় কিছু করতে পারি নাই, তাই মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী এত বছর জায়গা ভোগদখল করে আসছিল। এখন আমাদের জমির কাগজপত্র আছে তাই আমরা আমাদের জমি দখল করে নিয়েছি।

সাবেক ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা, শেখ রেজাউল করিম বলেন আমারা স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করতে চেয়েছিলাম কিন্তু ওই মহিলা মানে না। জমি সঠিক ভাবে পরিমাপ করলে উভয়ের মধ্যে ফয়সালা হতো। এই জমিতে কবর স্থান আছে বলে দাবি করে বলেন এই খানে মুক্তিযোদ্ধা সহ অনেক লোকের কবর দেওয়া রয়েছে।

বাগেরহাট থেকে রুহুল আমিন বাবু