প্রেমিকের বিয়ের খরব শুনে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দইখাওয়া এলাকায় নোয়াখালীর এক তরুণী এসে বিয়ের দাবিতে অবস্থান করছেন। এদিকে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মেয়েটিকে ঘরের ভিতরে বন্দী করে রাখাসহ বহিরাগত কারো সাথে মেয়েটিকে দেখা করতে দিচ্ছেনা প্রেমিকের পরিবার। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
মেয়েটির বাড়ি নোয়াখালী জেলার প্রধান শহর মাইজদী এলাকার সোনাপুর গ্রামে।
জানা গেছে, উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের ভুটিয়ামঙ্গল এলাকার আক্তার হোসেন নালুর ছেলে ইমরান (২৪) এর সাথে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করার সুবাদে নোয়াখালীর এক তরুণীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের সম্পর্কের সুবাদে চলে অবাধে মেলামেশা ও ঘোরাফেরা। এদিকে ইমরান হুট করে বাড়িতে এলে তার বাবা মা ৫-৭দিন আগে মোটা অংকের যৌতুকের বিনিময়ে অন্যত্র ছেলেটির বিয়ের রেজিস্ট্রারী করান। তবে বিয়ের রেজিস্ট্রারীর সময় ছেলেটি রাজি ছিলোনা বলে এলাকার অনেকেই জানান। এদিকে ইমরানের বিয়ের খবর পেয়ে বুধবার রাতে মেয়েটি এসে বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে অবস্থান শুরু করে।
মহুর্তে এ ঘটনা চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে ছেলেটির বাবা আক্তার হোসেন নালু তার বাড়িতে বহিরাগত সকল লোকের প্রবেশ বন্ধ করে দেন। কেউ যাতে মেয়েটির সাথে কথা বলতে না পারে এজন্য মেয়েটিকে ঘরের ভিতরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শত চেষ্টা করেও ছেলের পরিবারের বাধার মুখে পড়ে মেয়েটির সাথে কথা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে ইমরানের বাবা আক্তার হোসেন নালুর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এটা কোন ঘটনা না। মেয়েটি এসেছে তাকে ফিরিয়ে দেয়া হবে।
গোতামারী ইউনিয়নের বিট অফিসার এসআই শামসুল হক জানান, লোক মুখে শুনেছি। কেউ অভিযোগ না দেয়ায় ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়নি।
গোতামারী ইউপি চেয়ারম্যান মোনাব্বেরুল হক মোনা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ছেলেটির অন্যত্র বিয়ের রেজিস্ট্রারী হয়েছে। মেয়েটির বাবা মাকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা আসলেই মেয়েটিকে তাদের হাতে তুলে দেয়া হবে।
হাতীবান্ধা থানার অফিসার্স ইনচার্জ ওসি শাহ আলম বলেন, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।