দীর্ঘদিন সৌদি প্রবাসী ছিলেন নাজমা আক্তার (৪০)। আগামী শুক্রবার তার দুবাই যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই স্বামীর হাতে প্রাণ হারালেন। আজ বুধবার ভোররাতে ঝগড়ার জেরে তার বুকে ছুরি চালিয়ে দেন স্বামী কাউসার আলম তুহিন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত নাজমা আক্তার বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানার কবাই ইউনিয়নের খোদাবক্স গ্রামের আব্দুল গনি মিয়ার মেয়ে। দুই ছেলে ও স্বামী-স্ত্রী ফতুল্লার ফাজিলপুর এলাকার মো. রকিবের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন তুহিন। তিনি পেশায় ট্রাকচালক বলে জানা গেছে।
ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহসীন জানান, নাজমা আক্তার সৌদি থেকে দেড় বছর আগে দেশে ফিরে আসেন। তার স্বামী মাদকাসক্ত। প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো।
নিহতের বড় ছেলে নাজমুল হোসেন বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে বুধবার ভোররাতে বাবার সঙ্গে মায়ের ঝগড়া হয়। ওই সময় মায়ের বুকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান বাবা।
ফত্ল্লুা মডেল থানার এসআই মোস্তফা কামাল বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, কাউছার আলম তুহিন তার স্ত্রী নাজমা আক্তারকে সন্দেহ করতেন। তার ধারণা, নাজমা পরকীয়া প্রেমে জড়িত। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। হত্যার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।