পুলিশ হেফাজতে তরুণ ইরানী মহিলা মাহসা আমিনির মৃত্যুতে ইরানের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ এখনও অব্যাহত আছে, এতে করে ইরানী সরকারে ওপর চাপ বাড়ছে। আজ বুধবার তেহরানের প্রধান চত্বরে ইরানী দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিক্ষোভ-কারীরা “স্বৈরশাসকের মৃত্যু” বলে স্লোগান দিচ্ছে।
১৩ সেপ্টেম্বর তেহরানে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের কঠোর পোষাক আইনের কারণে ইরানী পুলিশ “অনুপযুক্ত পোশাকের” জন্য আমিনি (২২) উত্তর-পশ্চিম কুর্দি শহর সাকেজ থেকে গ্রেপ্তার করেছিল। আমিনি হেফাজতে থাকা অবস্থায় মৃতু্ বরণ করেন।
২০১৯ সালে পেট্রলের দাম বৃদ্ধির কারণ ইরানী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছিল। এরপর ২০২২ সালে এটা ইরানে সর্বোচ্চ বিক্ষোভ। আমিনি কোমায় চলে যাবার পর তিন দিন পরে হাসপাতালে মারা যান, তারপরই ইরানের রাস্তায় বিরোধিতার প্রথম বড় ধরনের বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করে।
চলমান বিক্ষোভের ফলে ইরানে মৃতের সংখ্যা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা কাঁদানে গ্যাস, কিছু ক্ষেত্রে গোলাবারুদ ব্যবহার করার পরও বিক্ষোভ থেমে যায়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায় ইরানিরা চার দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা ইসলামি শাসনের অবসানের আহ্বান জানাচ্ছে।
বুধবার অবদি টানা দুই সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। ইরানের আশেপাশের তেহরান থেকে চাবাহার দক্ষিণ-পূর্ব বন্দর পর্যন্ত অন্তত ৮০টি শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মিডিয়া। টুইটারে পোস্ট করা একটি ভিডিও দেখায়-“আমরা যুদ্ধ করব, আমরা মরব, আমরা ইরানকে ফিরিয়ে নেব,”। তেহরানে বিক্ষোভকারীরা এভাবেই স্লোগান দিয়েছে। চাবাহার থেকে একটি ভিডিওতে ইরানী দাঙ্গা পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে দেখা যায়।
সূত্র : এমএনএস