ঝিনাইদহে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ ও পরে হত্যার অভিযোগে ৯ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে চার মাসের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: মিজানুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।
আসামিরা হলেন- ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী এলাকার আশরাফ উদ্দীন শেখের ছেলে গোলাম রসুল, তাহের উদ্দীন মন্ডলের ছেলে শরিফুল ইসলাম, হুরমত আলীর ছেলে আমিরুল ইসলাম, শামসুদ্দীনের ছেলে গোলাম রসুল, আইয়ুব আলীর ছেলে আব্দুল আজিজ, আফজাল হোসেনের ছেলে আজিজুর রহমান, দাউদ বিশ্বাসের ছেলে জাহিদুল ইসলাম, দলিল উদ্দীন মন্টুর ছেলে বাদশা মিয়া ও কেশবপুর গ্রামের গোলাপের ছেলে আব্দুল বাতেন।
এদের মধ্যে শরিফুল ও আমিরুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।
রায় সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১২ মার্চ রাতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রামের আরব আলীর স্ত্রী রেনু বেগমকে ধর্ষণ করে আসামিরা। পরে তারা ওই নারীকে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়। ১৩ মার্চ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আরব আলী পরদিন ১৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ ১১ বছর পর সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
মামলার বাদি ও নিহতের স্বামী আরব আলী মঙ্গলবার বিকেলে বলেন, ‘২০১১ সালে আমার স্ত্রীকে আসামিরা ধর্ষণের পর হত্যা করে।’
আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড না হয়ে ফাঁসি হলে খুশি হতেন বলে জানান তিনি।
ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান বলেন, ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলেও একজন মারা যাওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
এছাড়া রায়ে পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।