দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার মূল কারিগর বাংলার কৃষক। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমেই মূলত: দেশে আজ দারিদ্র্যের হার হ্রাস পাচ্ছে। জাতির পিতা ও তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার হৃদয়ে বাংলার কৃষকেরা বিশেষ জায়গা দখল করে আছেন। কৃষকরা প্রধানমন্ত্রীকে প্রাণভরে ভালোবাসেন। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার মোঃ শামসুল হক টুকু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষ্যে পাবনার সাঁথিয়া মিয়াপুর কলেজ মাঠ, ক্ষেতুপাড়া, সাথিয়াতে আয়োজিত কৃষক বিনোদন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডেপুটি স্পীকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রাম ও শহরের উন্নয়নে সমান সুযোগ-সুবিধা রাখার লক্ষ্যে গ্রামীণ “উন্নয়ন ও কৃষি বিপ্লব” শিরোনামে সংবিধানে একটি ধারা যুক্ত করেছেন। কৃষকদের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে এই কৃষকদের পক্ষ থেকে এই বিনোদন অনুষ্ঠান কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ।
খেলাধুলার গুরুত্ব বুঝাতে ডেপুটি স্পীকার বলেন, মাদক সন্ত্রাস থেকে সমাজকে মুক্ত রাখতে সকল শ্রেণি পেশার মানুষের জন্য সুস্থ্য বিনোদনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। পাকিস্তানী শোষক শ্রেণি ও আমাদের দেশের সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল আমাদের সংস্কৃতিকে প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি রক্ষায় নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন এবং বাস্তবায়নে আমাদের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।
কৃষক বিনোদন অনুষ্ঠানে মহিলাদের অংশগ্রহণে “বাজনা থামলে বল কোথায়”, হাড়ি ভাঙ্গা, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণে হাড়ি ভাঙ্গা, পুরুষদের অংশগ্রহণে হাঁস ধরা, বালিশ যুদ্ধ, হাডুডু, লাঠিখেলা, তৈলাক্ত কলাগাছ আরোহন খেলাগুলোর ফলে দর্শকদের মাঝে আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি করে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বিভিন্ন পেশাজীবীর মানুষ ডেপুটি স্পীকারকে বরণ করে নেয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার, বেড়া পৌর চেয়ারম্যান এস. এম. আসিফ রঞ্জন শামস, এছাড়া, ডেপুটি স্পীকারের একান্ত সচিব, সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বেড়া-সাঁথিয়ার স্থানীয় আওয়ামী নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।