ইউক্রেনে আক্রমণ করার জন্য রুশ বাহিনী ইরানি ড্রোন ব্যবহার করার জেরে দেশটিতে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ধারবাহিকতায় ইরানের রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকে পরিচয়পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছে কিয়েভ। এছাড়া ইরানি দূতাবাসে কূটনীতিকের সংখ্যা কমানোরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
শুক্রবার গভীর রাতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এসব সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
একটি ভিডিও বক্তব্যে তিনি বলেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী এখনো পর্যন্ত ইরানের তৈরি মোট আটটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে।
জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ রাশিয়ান সেনাবাহিনী দিনিপ্রপেট্রোভস্ক এবং ওদেসাত অঞ্চলে হামলার জন্য ইরানি ড্রোন ব্যবহার করেছে। আমি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাতে নির্দেশ দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে ছয়টি ইরানি ড্রোন আমাদের পূর্ব ও দক্ষিণ কমান্ডের বিমান প্রতিরক্ষা দ্বারা ভূপাতিত করা হয়েছে। আর একটি নৌবাহিনীর বিমান প্রতিরক্ষা দ্বারা মাটিতে নামিয়ে আনা হয়েছিল এবং ঠিক এই মুহূর্তে আমাকে আরেকটি ইরানি ড্রোন দক্ষিণ কমান্ডের বিমান প্রতিরক্ষা দ্বারা ভূপাতিত করার বিষয়ে বলা হয়েছে।’
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, ‘এই ধরনের অবন্ধুত্বপূর্ণ কাজের প্রতিক্রিয়ায় ইরানের রাষ্ট্রদূতকে তার স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত করার এবং কিয়েভে ইরানের দূতাবাসের কূটনৈতিক কর্মীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউক্রেন।’
এদিকে মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্রদূতকে জানানো হয়েছে যে, রাশিয়াকে ইরানি অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে ‘নিরপেক্ষতার অবস্থান, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সরাসরি বিরোধিতা করা হয়েছে’ এবং ‘এটি একটি বন্ধুত্বহীন কাজ যা ইউক্রেন-ইরান সম্পর্কের জন্য ‘মারাত্মক ক্ষতি’। এ ধরনের একটি অবন্ধুত্বপূর্ণ কাজের প্রতিক্রিয়া হিসাবে ইউক্রেনীয় পক্ষ ইউক্রেনে ইরানের রাষ্ট্রদূতকে স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত করার পাশাপাশি কিয়েভে ইরানের দূতাবাসের কূটনৈতিক কর্মীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
তবে কিয়েভ ও ওয়াশিংটনের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান। বলেছে, রাশিয়াকে তারা কোনো ড্রোন সরবরাহ করেনি। এর আগে তেহরানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে ইরান এই যুদ্ধে কোনো পক্ষকে সহায়তা করবে না। কারণ তারা সংলাপের মাধ্যমে সমাধানকে সমর্থন করেছে।
সূত্র : আল-জাজিরা