গাজীপুরে কালীগঞ্জের এক বাসা থেকে খ্রীস্টান ধর্মালম্বী এক ব্যক্তির অগ্নিদগ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের মাইজ পানজোড়া গ্রামের আরমান কাজীর বাড়ীতে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। বৃহষ্পতিবার কালীগঞ্জ থানার ওসি আনিসুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। নিহতের নাম- বার্নার্ড পালমার (৬৫)। তিনি ঢাকার ফার্মগেইট এলাকার ১০৪ গ্রীণ রোডের জেরী জে পালমারের ছেলে।

কালীগঞ্জ থানার ওসি আনিসুর রহমান নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বেশ কয়েক বছর ধরে প্রতিবন্ধি বোনকে নিয়ে কালীগঞ্জের খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বি অধ্যূষিত এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন নিঃসন্তান বার্নার্ড পালমার। প্রায় ৫ মাস আগে কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের মাইজ পানজোড়া গ্রামের আরমান কাজীর বাড়ীর তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে পৃথক কক্ষে বসবাস করতেন তারা। গত দু’দিন যাবত ওই ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ দেখতে পেয়ে অন্যান্য ভাড়াটিয়ারা ভবনের মালিককে জানান। বুধবার বিকেলে এ খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানাধীন উলুখোলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মধূসুদন পান্ডে ঘটনাস্থলে যান। তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে ফ্ল্যাটের দরজায় নক করলে দরজাটি খুলে যায়। পরে তারা ঘরে প্রবেশ করে মেঝের মাঝখানে ওই পুরুষ ব্যক্তির অগ্নিদগ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। লাশের পাশেই একটি চুলার সঙ্গে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারের সংযোগ পাইপ আগুনে পোড়া ছিল। এসময় লাশের পিঠের নীচ থেকে একটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। ময়না তদন্তের জন্য লাশটি হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

তিনি আরো জানান, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদকালে লাশের পরিচয় জানাতে পারেনি ওই ফ্ল্যাটের পাশের কক্ষে থাকা প্রতিবন্ধি বোন। পরে উদ্ধারকৃত মোবাইলের কললিস্টের সূত্রধরে বৃহষ্পতিবার কানাডা প্রবাসী নিহতের ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ দিয়ে নির্গত হয়ে কক্ষে গ্যাস জমে ছিল। পরবর্তীতে ওই গ্যাস দেয়াশলাইয়ের আগুনের সংস্পর্শে এলে তিনি অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।