লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের ‘গাওচুলকা পুরাতন কাচারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের’ প্রধান শিক্ষক মনোরঞ্জন চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে ছলচাতুরীর অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে অভিভাবকেরা বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করলেও এখন পর্যন্ত কোন সুরাহা হয়নি।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, গাওচুলকা পুরাতন কাচারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোরঞ্জন চন্দ্র রায় নিজের খামখেয়ালি মতো স্কুল পরিচালনা করে থাকেন। তার বিরুদ্ধে বিনা কারণে স্কুলের শিক্ষার্থীদের নাম কর্তন করাসহ স্লিপের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এনিয়ে যাতে কেউ কথা বলতে না পারে সেজন্য তিনি স্কুল পরিচালনার ম্যানেজিং কমিটি গঠনে নানান ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়েছেন।
ঐ স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় পুনরায় নতুন কমিটি গঠনের জন্য মনোনয়ন পত্র চেয়ে প্রধান শিক্ষক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। খবর পেয়ে কয়েজন অভিভাবক তার নিকট মনোনয়ন পত্র ক্রয় করতে গেলে তিনি তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। অভিভাবকেরা এর কারণ জানতে চাইলে, ভোট ছাড়াই ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হবে বলে তিনি তাদেরকে বিদায় দেন।
পরে প্রতিকার চেয়ে এবিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন ৪ জন অভিভাবক।
গোতামারী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাজু আহমেদ বলেন, অভিভাবকদের মনোনয়ন পত্র না দেয়ার বিষয়ে ফোন দিয়ে প্রধান শিক্ষককের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেননি।
শিক্ষার্থীর অভিভাবক ডাঃ বাবু, সাগর মিয়া, রোকনুজ্জামান, আবু বকর ও হেলাল মিয়া অনেকেই ঐ স্কুলের মনোনয়ন পত্র ক্রয় করতে গেলে প্রধান শিক্ষক তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন বলে অভিভাবকেরা জানান।
ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনোরঞ্জন চন্দ্র রায়ের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা অভিযোগ করেছেন তাদের কোন সন্তানই এই স্কুলে লেখাপড়া করেনা।
গোতামারী ইউপি চেয়ারম্যান মোনাব্বেরুল হক মোনা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এবিষয়ে কয়েকজন অভিভাবক আমাকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে অবগত করা হয়েছে।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মিঠুন বর্মন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এবিষয়ে খোজখবর নিতে উপজেলা চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন মহোদয় আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।