বাগেরহাটের মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের ইনারবার ড্রেজিং প্রকল্প বন্ধ হলে পণ্যবাহী বিদেশি জাহাজ আসা বন্ধ হয়ে যাবে। একই সঙ্গে পদ্মা সেতুর সুফল ব্যাহতসহ বাধাগ্রস্ত হবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও বাংলাদেশের উন্নয়ন। বন্দরের নৌ-চ্যানেল সুরক্ষিত না থাকলে আমদানি রফতানিসহ জাতীয় অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তাই ড্রেজিং বন্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবি করেছেন বন্দরে কর্মরত সহস্রাধিক কর্মচারী।

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বন্দর কর্তৃপক্ষের মূল ফটকের সামনে মানববন্ধনে অংশ নিয়ে তারা এই দাবি জানান।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের আয়োজনে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সংঘের সভাপতি নাসির উদ্দীন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম পল্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক সরোয়ার হোসেন খোকন ও যুগ্ম সম্পাদক সুজন মাহমুদসহ অনেকে।

এ সময় বক্তারা বলেন, অবিলম্বে পশুর চ্যানেল ড্রেজিং প্রকল্প বাস্তবায়ন করে সাড়ে ৯ মিটার গভীরতার জাহাজ আগমনে নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া ড্রেজিং বন্ধের কুচক্রি মহলের দৃষ্টান্ত শাস্তির আওতায় এনে অচল হওয়ার মঙ্কা থেকে মোংলা বন্দরকে বাঁচাতে হবে। এই বন্দরসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মরত লাখ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা নির্বাহ বন্ধ হওয়ার উপক্রম থেকেও এ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করার দাবি জানান তারা।

বাগেরহাট থেকে রুহুল আমিন বাবু