রাজধানীর মিরপুর পল্লবী জোনে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সমাবেশে হামলার ঘটনায় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল মজুমদার, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো ৪০০-৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের এডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে এই আবেদন করেন বিএনপি নেতা আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী।
মামলায় নাম উল্লেখ করা আসামিরা হলেন- শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহম্মেদ মজুমদার, ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ. মান্নান কচি, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক তাইজুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পি, রূপনগর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী রজ্জব হোসেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা কাশেম মোল্লা, ঢাকা-১৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তুহিন, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মান্নান, আনোয়ার হোসেন লিটু ও সালা উদ্দিন রবিন, ঢাকা উত্তর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইসহাক মিয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা হাজী তোফাজ্জল হোসেন টেনু, রূপপুর থানা যুবলীগের সভাপতি জাকির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক খোকন, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি মো: ইব্রাহিম ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ সালমা চৌধুরী।
বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন। এর পর শুনানি শেষে আদালত আদেশ পরে দেবেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, গত ১৫ সেপ্টেম্বর জ্বালানি ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, গণপরিবহনে ভাড়া বৃদ্ধি, গুলিতে নুরে আলম, আব্দুর রহিম ও শাওনের মৃত্যুর প্রতিবাদে রাজধানীতে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে মিরপুরে সমাবেশ করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি।
দলের নেতাকর্মীদের অভিযোগ ছিল, পূর্বঘোষিত সমাবেশে মিরপুর ৬ নম্বর বাজারের পশ্চিম পাশে মুকুল ফৌজ মাঠ এলাকায় সমাবেশমুখী মিছিলে হামলা চালায় ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গ সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।