ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। আনুষ্ঠানিকতার এই ধারবাহিকতায় দেশব্যাপী দুই মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এর আগে গাওয়া হয় দ্য লাস্ট পোস্ট গানটি।

নিরবতা পালনের পর গাওয়া হয় জাতীয় সংগীত। এরপর রানির বাঁশীবাদক দল বিষাদের সুর তুলেন। এরই মধ্যে দিয়ে দিনের মধ্যভাগে শোকসভা শেষ হয়েছে। এর আগে সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে এই আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। রাষ্ট্রীয় এই আয়োজন পরিচালনা করছেন ওয়েস্টমিনস্টারের ডিন ডেভিড হয়েল। আনুষ্ঠানিকতা শুরুর পর ক্যান্টারবারির আর্চবিশপ জাস্টিন ওয়েলবি ধর্মগ্রন্থ থেকে বাণী পাঠ করেন।

এর আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস ও কমনওয়েলথের সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারনেস স্কটল্যান্ড ধর্মগ্রন্থ থেকে বাণী পাঠ করে শোনান। এরপর ১৯৪৭ সালে তৎকালীন প্রিন্সেস এলিজাবেথ এবং প্রয়াত প্রিন্স ফিলিপ মাউন্টব্যাটেনের বিয়ের অনুষ্ঠানে যে স্তবগান করা হয়েছিল, শেষকৃত্যানুষ্ঠানে সেটি গাওয়া হয়।

রানি তাঁর প্রিয় স্বামীকে হারান গত বছরের এপ্রিলে। তারা ৭০ বছর ধরে বিবাহিত ছিলেন।

জাস্টিন ওয়েলবির বক্তব্যের পর ১৭ শতকের কবি হেনরি ভনের একটি গান আশার গান হিসেবে সম্মিলিতভাবে গাওয়া হয়। এরপর চার্চ নেতাদের কয়েকটি দল রানির মেধা, পরিশ্রম ও দেশ সেবার প্রশংসা করে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রার্থনা করা হয়।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, আজকের দিনটি ব্রিটেনে আবেগঘণ ও আড়ম্বরপূর্ণ রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ব্রিটেনে এই ধরনের রাষ্ট্রীয় শেষকৃত্য সর্বশেষ হয় ৬০ বছর আগে উইনস্টন চার্চিলের বিদায়ে।

রানির কফিন নিয়ে শোকমিছিল এরইমধ্যে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবে চলে আসে। এরপর কফিন গান ক্যারিজ থেকে তুলে নিয়ে রাষ্ট্রীয় শেষকৃত্যের জন্য ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। ভবনের ভেতরে নিয়ে যাওয়ার পর উঁচু বেদির সামনে একটি প্লাটফর্মের ওপর কফিন রাখা হয়েছে।