চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি পুনর্গঠনের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ করছে চবি ছাত্রলীগের ছয় গ্রুপ। সোমবার ভোর ছয়টা থেকে চলমান অবরোধে অচলাবস্থা বিরাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ে । এতে বাতিল হয়েছে ১১ টি চূড়ান্ত পরীক্ষা।

ভোর থেকে মূল ফটক আটকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি বর্ধিত করার দাবিতে জানায় চবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে প্রশাসনের নির্দেশে মূল ফটক খুলে দেয় অবরোধকারীরা। পরবর্তীতে আরেকটি গ্রুপ বিজয়ের অনুসারীরা এসে আবার মূল ফটক আটকে স্লোগান দেয়া শুরু করে ।

পদবঞ্চিত নেতাদের কমিটিতে অর্ন্তভুক্ত, পদধারী নেতাদের যোগ্যতা অনুযায়ী ক্রমানুসারে পুনঃমূল্যায়ন, বিবাহিত, চাকরিজীবী নেতাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা । এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার ভোর ছয়টা থেকে এই অবরোধ শুরু করেন ছাত্রলীগের ছয় গ্রুপের নেতা কর্মীরা । দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের এই অবরোধ চলবে বলে জানান নেতারা। অবরোধ করা ছয় গ্রুপ হলো ভিএক্স, বাংলার মুখ, রেড সিগনাল, কনকর্ড, এপিটাফ ও উল্কা । তারা মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী ।

অন্যদিকে এই অবরোধের সাথে সমর্থন জানিয়ে একই দাবিতে মূল ফটক আটকে দেন চবি ছাত্রলীগের আরেকটি গ্রুপ বিজয়ের নেতাকর্মীরা । তারা শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী ।

বিজয় গ্রুপের নেতা ও ছাত্রলীগের উপ-আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক নয়ন চন্দ্র মোদক বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ কমিটটিতে যোগ্যদের মূল্যায়ন না করে অছাত্র, মাদকসেবী ও বিবাহিতের পদায়ন করা হয়েছে। আমরা চাই কমিটি বর্ধিত করে যোগ্যদের মূল্যায়ন করা হোক। না হয় আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।’ বিজয় গ্রুপের ফটক আটকে দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তালা খুলে দেয় প্রশাসন ।
চবি ছাত্রলীগের ও ভিএক্স গ্রুপের নেতা সহ-সভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় জানান , শীর্ষ নেতাদের প্রহসন আর মেনে নিবেন না. তাই অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ডাক দিয়েছেন তারা ।

চবি প্রক্টর ড . রবিউল হাসান ভুঁইয়া বলেন , তাদেরকে মূল ফটক খুলে দেওয়ার জন্য বুঝিয়েছি ৷ তারা এ কথা শুনেছেন৷ এখন অবরোধ প্রত্যাহারের জন্য তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।’