দুই দিন টানা বৃষ্টি চলছে দেশজুড়ে। বৃষ্টির পানিতে মানুষের জীবন-যাত্রা প্রায় থেমে গেছে। জলাবদ্ধতা আর পানিতে আটকা মানুষের গল্প আসতে শুরু করেছে গত দিন থেকেই। এর ভেতর বিশেষ নজরে এসেছে বরিশাল বাস টার্মিনাল জমে থাকা বৃষ্টির পানি।
গত দুই দিনের বৃষ্টির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বরিশালের বাস টার্মিনালে। গত দুই দিনের বৃষ্টিতে বরিশাল নগরীর রূপাতলী বাস টার্মিনালে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে দুর্ভোগে পড়েন বাসচালক, শ্রমিক ও যাত্রীরা। দ্রুত টার্মিনালটি সংস্কারের দাবি ভুক্তভোগীদের।
বরিশালের রূপাতলী বাস টার্মিনাল সরেজমিন দেখতে গিয়ে তেমন চিত্রই একটি টিভি চ্যানেল উপস্থাপিত করেছে। বিগত বহু বছরের উন্নতি দেশজুড়ে প্রভাব ফেললেও গত ৫ বছর ধরে টার্মিনালটি বারবার সংস্থারের উদ্যোগ নেয়া হলেও সফলতার মুখ দেখেনি বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এতে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ বিরশালের বিভিন্ন যান চালক ও শ্রমিকরা। কাদাপানিতে মাথামাখি টার্মিনালের ভেতর একাকার। এরই মধ্যে যাত্রীদের নিয়ে থামছে বাস আবার রওয়না হচ্ছে। এছাড়া টার্মিনালের বাইরের সড়কে বাস থাকায় সেখানে সৃষ্টি হয় যানজটের।
দেশের বাস টার্মিনাল গুলোর সংস্কারের ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দাযিত্ব সেখানকার সিটি করপোরেশনের। সে হিসেবে বরিশাল বাসটার্মিনালের সংস্কারের দায়িত্ব বরিশাল সিটি করপোরেশনের। অথচ তা হয়নি।
ড্রেনের কাজ অসম্পূর্ণ থাকা ও নিচু জমির কারণে এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় বলে জানান বাস মালিক সমিতি, বরিশালের রূপাতলী বাস টার্মিনালের সহসভাপতি বেল্লাল হোসেন তালুকদার। সংঙ্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দায়-দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের; কারণ এখানে আমাদের কিছু করার নেই। সমিতি পক্ষের কাছে আমরা এ বিষয়ে দাবি করেছি, তারা বলেছে কিছুদিনের মধ্যে এটা ঠিক করে দেবে।
বরিশাল জেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি পরিমল চন্দ্র দাস বলেন, টার্মিনালে বৃষ্টির কারণে পানি জমেছে, শিগগিরই এটার সমাধান হবে। কেএফডব্লিউএর অর্থায়নে টার্মিনালের ড্রেন সংস্কার ও নিচু জমি ভরাটের কাজ দ্রুত শুরু হবে বলে জানায় সিটির প্যানেল মেয়র।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হোসেন লিটু বাস টার্মিনালের সংঙ্কার নিয়ে বলেন, অসম্পূর্ণ ড্রেন থাকার কারণে সেখানে পানি জমে থাকে। আশা করছি, কেএফডব্লিউর অর্থায়নে টার্মিনালের ড্রেন সংস্কার ও নিচু জমি ভরাটের কাজ দ্রুত শুরু হবে।
রূপাতলী বাস টার্মিনাল থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৮টি রুটে প্রতিদিন প্রায় ২০০ বাস চলাচল করে।