স্ত্রী হত্যা মামলায় গ্রেফতার পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তার ফেনী কারাগারে তার কক্ষ তল্লাশির অভিযোগ তুলে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেছেন।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. জেবুননেছা বেগমের আদালতে সোমবার বাবুল আক্তারের পক্ষে এই আবেদন করেন তার আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ।

আদালত আবেদনটি নথিতে রেখে ১৯ সেপ্টেম্বর শুনানির জন্য সময় নির্ধারণ করেছেন।

বাবুল আক্তারের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ জানান, বাবুল আক্তার বৃহস্পতিবার স্বীকারোক্তি আদায়ে হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে পিবিআই প্রধানসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেন। সেই মামলার আসামিদের নির্দেশে ও প্ররোচনায় গত ১০ সেপ্টেম্বর দুপুরে ফেনী মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ফেনী কারাগারে প্রবেশ করে বাবুল আক্তারের কক্ষে দীর্ঘ সময় ধরে তল্লাশি চালান। আজকের আবেদনে সেই অভিযোগ করা হয়েছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফেনী মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দিন। তিনি বাবুল আক্তারের কক্ষে যাননি বলে দাবি ওসির।

তবে বাবুলের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ বলেন, কারাগারে ফেনী মডেল থানার ওসির প্রবেশের চিত্র সিসি টিভি ক্যামরার ফুটেজ যাচাই করলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

সোমবার বাবুলের করা আবেদনে বলা হয়- জেল কোড অনুসরণ না করেই, বন্দির কক্ষ তল্লাশির নামে জীবনের ক্ষতি সাধনের চেষ্টায় এ যাত্রায় সফল না হলেও আসামিরা যে কোনো সময় বাদী ও তার পরিবারের জীবননাশসহ যে কোনো ধরনের ক্ষতি করতে পারে।

জেল কোড অনুসারে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও আদালতের লিখিত অনুমতি ছাড়া থানার পুলিশ কর্মকর্তা কোনোভাবেই জেলখানায় প্রবেশ করতে পারেন না বলে মন্তব্য করেন আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ।

প্রসঙ্গত, স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে খোদ বাবুলের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়ে গত ১২ মে তার করা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পিবিআই। এরপর সেদিনই বাবুলসহ ৯ জনকে আসামি করে নতুন হত্যা মামলা করেন মিতুর বাবা মোশাররফ।

২৫ জানুয়ারি মোশাররফ হোসেনের করা মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পিবিআই। ৬ মার্চ সেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আদালত। এখন নিজের করা মামলাতেই গ্রেফতার আছেন বাবুল।