কক্সবাজারে শেষ হলো ওয়ালটন প্রথম রোলার স্কেটিং ম্যারাথন।বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে ‘ওয়ালটন প্রথম রোলার স্কেটিং ম্যারাথন-২০২২’ প্রতিযোগিতা শেষ হয়েছে। এতে অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদর পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।
আজ শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টে অংশগ্রহণকারী সকল স্কেটারদের নিয়ে বিচ ক্লিনিং কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। পরে জেলা প্রশাসনের উন্মুক্ত মঞ্চে পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ম্যারাথন প্রতিযোগিতার আহবায়ক ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব আখতারুজ জামান খান কবিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (পিএলসি) -এর জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক এফ.এম. ইকবালবিন আনোয়ার (ডন)।সমাপনী অনুষ্ঠানে এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন) বলেন, ‘দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিতে ওয়ালটন গ্রুপ যে অর্থনৈতিক সাপের্ট দেয় সেটা পৃষ্ঠপোষকতা নয় বরং তারুণ্য শক্তিকে জাগ্রত করার জন্য মূলধন হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
মাদকের বিরুদ্ধে মাতৃতুল্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স ঘোষণাকে প্রধান্য দিয়ে মাদকমুক্ত দেশ গড়তে ওয়ালটন গ্রুপের এই প্রচেষ্টা। ওয়ালটনের এই সহযোগিতা দেশের প্রত্যেকটি অঞ্চল থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় তৈরিতে ভূমিকা রাখছে।’প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘প্রথম রোলার স্কেটিংয়ের জন্য কক্সবাজারকে বেছে নেয়ায় সংশিষ্টদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। প্রতিটি খেলায় দেশের স্বনামধন্য ওয়ালটন গ্রুপের অংশগ্রহণ প্রশংসনীয়। পর্যটনের শহর কক্সবাজারে এসব আয়োজন দেশ-বিদেশের মানুষ দেখবে এবং তাদের মধ্যে একটা ভালো লাগা কাজ করবে। আমি চাই শিশু-কিশোরদের মন ভালো থাকার জন্য এবং শারিরীকভাবে স্স্থু থাকার স্কেটিংসহ বিভিন্ন খেলাধুলা সমুদ্র শহর কক্সবাজারে আয়োজন করা হোক।’সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাহিদ ইকবাল, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জসীম উদ্দিন, আনসার ও ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্ট অ¤ান জ্যোতি নাগসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে অতিথি ও অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার, ক্রেস্ট ও ওয়ালটন পণ্য বিতরণ করা হয়।উলেখ্য, গেল ৫ সেপ্টেম্বর থেকে কক্সবাজারে শুরু হয় ওয়ালটন প্রথম রোলার স্কেটিং ম্যারাথন-২০২২। এবারের এই প্রথম রোলার স্কেটিং ম্যারাথন প্রতিযোগিতার আওতায় ছিল- স্কেট বোর্ডিং প্রতিযোগিতা, রোলার স্কেটিং খেলার প্রদর্শনী, আকর্ষণীয় স্কেটিং র্যালি, অংশগ্রহণকারী সকল স্কেটারদের নিয়ে বিচ ক্লিনিং কর্মসূচি ও তিনদিন ব্যাপী কক্সবাজারের তৃণমূল পর্যায়ে রোলার স্কেটিং ও রোপ স্কিপিং প্রশিক্ষণ কর্মসূচি।