সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে যে কোন অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে দ্বিধা করবে না। জেলার মাদক নিয়ন্ত্রণ, সাইবার অপরাধ, কিশোর অপরাধ ও সন্ত্রাসী নিয়ন্ত্রণে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করবে গাজীপুর জেলা পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে নবাগত গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম তার কার্যালয়ে আয়োজিত জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
পুলিশ সুপার বলেন, সর্বত্র মাদক বিস্তার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মাদক বিস্তার রোধ করা আমাদের সবার দায়িত্ব। তবে প্রথমে পরিবার থেকে মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে। পরিবারের সন্তানদের কড়ানজরে রাখলে মাদকের বিস্তার কমে আসবে। এসময় তিনি জেলার সার্বিক আইনশৃংখলা রক্ষা, মাদক, কিশোরগ্যাং, ছিনতাই, চুরি-ডাকাতি, সড়ক-মহাসড়কের শৃংখলা ফিরাতে সাংবাদিকদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
মতবিনিময় সভায় নবাগত পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম ধৈর্যসহকারে জেলার সার্বিক আইনশৃংখলা, মাদক, যানজটসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের বক্তব্য শুনেন এবং তা সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন।
মতবিনিময়কালে গাজীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম রাব্বানী শেখ, মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন, নন্দিতা মালাকার, নাজমুস সাকিবসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সোমবার পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম তার নতুন কর্মস্থল গাজীপুরে যোগদান করেন। এসময় জেলা পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। পরে তিনি সহকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন জেলা পুলিশ লাইন পরিদর্শন করেন।
পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার উপ-কমিশনার ছিলেন। তিনি জাহাঙ্গীর নগর বিশ^বিদ্যালয় থেকে ইংরেজী বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী। তিনি ২৫তম বিসিএস-এর মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের চাকুরিতে যোগ দেন। দুই কন্যা সন্তানের জনক কাজী শফিকুল আলমের স্ত্রী একজন গৃহিনী। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জে।